ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভা প্রদেশের একটি ফুটবল মাঠে খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও পদদলিত হয়ে নিহত বেড়ে ১৭৪ জনে দাঁড়িয়েছে ।
শনিবার (১ অক্টোবর) রাতে শহরের কানজুরুহান ফুটবল স্টেডিয়ামে এ ঘটনা ঘটে।এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় দুই’শ মানুষ।
গত কয়েক দশকে ফুটবল মাঠে সংঘর্ষের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা বলা হচ্ছে এটিকে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আরেমা এফসি নামে একটি ফুটবল ক্লাব প্রতিদ্বন্দ্বী পার্সেবায়া সুরাবায়ার কাছে হেরে যাওয়ার পর সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। খেলায় আরেমাকে ৩-২ গোলে হারায় পেরসেবায়া। দুই দশকের বেশি সময়ের মধ্যে পেরসেবায়ার কাছে এই প্রথম কোনো ম্যাচে হারল আরেমা।
ইন্দোনেশিয়া পুলিশ জানিয়েছে, হারের পর স্টেডিয়ামে থাকা আরেমার দর্শকেরা মাঠে নেমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। তাদের থামাতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। এতে দর্শকেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এ সময় হুড়োহুড়িতে অনেকেই পদদলিত হয়ে নিহত হয়।
পূর্ব জাভার পুলিশ প্রধান নিকো আফিন্তা বলেন, “দুই পক্ষের সমর্থকদের সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ কাদানে গ্যাঁস নিক্ষেপ করে। এ সময় ভিড়ের মধ্যে পদদলিত হয় এবং শ্বাসরোধের ঘটনা ঘটে।”
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, অনেকের মৃতদেহ পড়ে আছে। মর্মান্তিক এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইন্দোনেশিয়ার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (পিএসএসআই)।
এদিকে এ ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছে ইন্দোনেশিয়া সরকার। বিষয়টি তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে তারা। ক্ষোভ জানিয়ে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ার শীর্ষ লীগের সব ধরনের ম্যাচ স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জকো উইদোদো।
সংবাদমাধ্যমকে দেশটির ক্রীড়া ও যুবমন্ত্রী জাইনুদিন আমালি বলেন, “দুঃখজনক এ ঘটনা এমন সময় ঘটল, যখন ফুটবলের ভক্ত–অনুরাগীরা স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা দেখার সুযোগ পাচ্ছেন।”
গত কয়েক দশকের মধ্যে কোনো ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের সহিংসতা বলা হচ্ছে এটিকে। ১৯৬৪ সালে লিমাতে পেরু-আর্জেন্টিনা অলিম্পিক বাছাইপর্বের সময় পদদলিত হয়ে ৩২০ জন নিহত এবং হাজারো মানুষ আহত হন।
১৯৮৫ সালে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসের হেইসেল স্টেডিয়ামে নিহত হন ৩৯ এবং আহত ৬০০ জন।