রাশিয়ার ওপর নতুন করে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিতর্কিত গণভোটের মাধ্যমে ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে ঘোষণার পর এই নিষেধাজ্ঞা দিলো ওয়াশিংটন। শনিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
রাশিয়ার সমরাস্ত্র শিল্প কমপ্লেক্স, দুইটি আন্ত্রর্জাতিক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান, আর্থিক খাতের প্রধান তিন জন নেতা এবং কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার পরিবারের সদস্যদের এবারের নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে। এছাড়া রুশ পার্লামেন্টের ২৭৮ জন সদস্যের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
রাশিয়ার বাইরে থেকে রুশ বাহিনীকে সহায়তা দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে বলে জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। একইসঙ্গে ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডকে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করার প্রচেষ্টায় যারা সমর্থন দেবে, তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেবে ওয়াশিংটন।
এর আগে ইউক্রেনের কাছ থেকে দখলকৃত চারটি অঞ্চলকে রাশিয়ায় যুক্ত করার ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শুক্রবার ক্রেমলিনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দেন তিনি। এর ফলে ইউক্রেনের খেরসন, জাপোরিজ্জিয়া, ডনেস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করবে রাশিয়া।
এই চারটি এলাকা ইউক্রেনের মোট ভূখণ্ডের ১৫ শতাংশ। সম্প্রতি অঞ্চলগুলোতে কথিত গণভোটের আয়োজন করেছে রাশিয়া। নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকের অনুপস্থিতিতে আয়োজিত গণভোটে ৯৯ শতাংশ মানুষ রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছেন বলে দাবি মস্কোর। ইউক্রেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলো এই গণভোটকে ‘সাজানো’ বলে দাবি করেছে।
শুক্রবারের ভাষণে পুতিন ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধে নিহত সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এক মিনিট নীরবতা পালনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বিশেষ সামরিক অভিযানে নিহত সেনারা রাশিয়ার বীর। তারা এই ভূখণ্ডের জন্য লড়াই করে মৃত্যুবরণ করেছে।
তিনি বলেছেন, ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল রাশিয়ায় যুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি নিশ্চিত, কেন্দ্রীয় পরিষদ আমাদের নতুন চারটি এলাকাকে সমর্থন করবে। কারণ, এটি লাখো মানুষের ইচ্ছা। এই ভূখণ্ডের জন্য রাশিয়ার কয়েকটি প্রজন্ম লড়াই করেছে।