ভারতে সহিংসতা ও দেশবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে ইসলামিক দল “পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া”র (পিএফআই) বেশ কয়েকজন সদস্যকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ভারতের উত্তরপ্রদেশে অভিযান চালিয়ে ৫৭ জনকে আটক করা হয়। একই ধরনের আটকের ঘটনা ঘটেছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামেও।
এই মাসের শুরুর দিকে দলটির ওপর “কঠোর অবস্থান” নেওয়ার পর সেসময় প্রায় ১০০ জনকে আটক করা হয়েছিল। পিএফআই এসব আটক ও দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়ে আসছে।
মঙ্গলবার দলটি এক টুইট বার্তায় বলছে, “পিএফআইকে লক্ষ্য করে কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যাপক গ্রেপ্তার ও দমন-পীড়ন মূলত প্রতিবাদের অধিকার কেড়ে নেওয়ার সামিল। এই স্বৈরাচারী ব্যবস্থার অধীনে এগুলো বেশ স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে।”
ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য উত্তরপ্রদেশের পুলিশ বলেছে, ক্রমবর্ধমান দেশবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে মঙ্গলবার তারা পিএফআইয়ের সঙ্গে যুক্ত ৫৭ জনকে আটক করেছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আসাম রাজ্যেও একই ধরনের আটকের ঘটনা ঘটছে। রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী পিএফআইয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার দাবি করেছেন।
এ মাসের শুরুতে, ফেডারেল ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বিহার, তামিলনাড়ু, কর্নাটক, তেলেঙ্গানা এবং অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যে অভিযান চালিয়ে বেশকিছু পিএফআই সদস্যকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে “সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড” পরিচালনার অভিযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে নাগরিকত্ব আইনের কারণে মুসলমানরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে অভিযোগ করে পিএফআই বিক্ষোভ করেছিল।
ভারতের মোট জনসংখ্যার ১৩% মুসলমান। মুসলমানদের একটা বড় অংশ দেশটির মোদি সরকারের ওপর নাখোশ। পিএফআইয়ের অভিযোগ, মোদি সরকারের কট্টর হিন্দুত্ববাদী অবস্থানের কারণে মুসলমানরা ভারতে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে।
তবে নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা বলছে, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমস্ত ভারতীয় মোদির শাসন থেকে অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে উপকৃত হচ্ছেন।