করোনার প্রভাবে বিশ্বব্যাপী অন্যান্য খাতের মতোই ধস নেমেছিল পর্যটন খাতেও। দীর্ঘসময় কঠোর লকডাউনের কারণে কমেছিল আন্তর্জাতিক পর্যটন বাণিজ্য। এই ধাক্কা সামলে আবারও নতুন করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে খাতটি। আর নতুন করে পথচলার এই সময়ে ‘পর্যটনে নতুন ভাবনা’— প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বাংলােদেশ পালিত হচ্ছে বিশ্ব পর্যটন দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হচ্ছে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে। দিবসটি উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিশ্ব পর্যটন দিবস-২০২২ উপলক্ষে সকালে ঢাকায় র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়াও খাদ্য উৎসব, লাইভ কুকিং শো এবং হোটেল-মোটেলের আবাসনে ৩০ শতাংশ ছাড়সহ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশেন।
এর প্রধান আয়োজন থাকছে রাজধানীর আগারগাঁওস্থ পর্যটন ভবনে। করপোরেশন জানিয়েছে, সকাল ৭টা হতেই পর্যটন ভবনের নীচতলার উন্মুক্ত স্থান ও সম্মুখে রাস্তার আইল্যান্ডে খাবারের স্টলগুলোতে সংস্থাটির বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় পরিবেশিত খাবারের বৈচিত্র্যময় রেসিপি ও বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী নানা রকম খাবার, পানীয় ও পিঠা-পায়েস ছাড়াও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মেন্যুও এতে উপস্থাপিত হচ্ছে। এই খাদ্য উৎসবটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত এবং খাবারগুলো স্বল্পমূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। আয়োজনে ‘লাইভ কুকিং শো’-ও থাকছে।
এছাড়াও বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে পর্যটন করপোরেশনের ভ্রমণ ইউনিটের আয়োজনে স্বল্পমূল্যে ও বিনামূল্যে তিনটি সিটি ট্যুর পরিচালিত হবে। সুবিধাবঞ্চিত শিশু পল্লীর শিশুদের জন্য থাকছে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে খাবার পরিবেশনসহ ‘ঢাকা-পদ্মা সেতু-ভাঙ্গা-ঢাকা’ রুটে অর্ধ দিবস প্যাকেজ ট্যুর।
বিশ্ব পর্যটন দিবসের বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘পর্যটন শিল্প বিশ্বে একটি অন্যতম প্রধান অর্থনৈতিক ও শ্রমঘন খাত। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য পর্যটন একটি কার্যকর উন্নয়ন কৌশল হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। আসুন, সম্মিলিতভাবে পর্যটনের উন্নয়ন ও বিকাশে কাজ করে বিশ্ব দরবারে দেশের পর্যটন শিল্পকে কার্যকরভাবে তুলে ধরার মাধ্যমে জাতির পিতার ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলি।
জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থার (ইউএনডব্লিউটিও) উদ্যোগে ১৯৮০ সাল থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর দিবসটি পালন করা হয়।