ডলারের বিপরীতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুদ্রার দরপতন হচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশের পাশাপাশি উন্নত দেশের মুদ্রারও দরপতন চলছে। এমনকি এই পতনে রেকর্ডও হয়েছে। এবার মার্কিন ডলারের বিপরীতে পাউন্ডের মান সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, এক মার্কিন ডলার সমান শূন্য দশমিক ৯৫ পাউন্ড হয়েছে। যা ১৯৭১ সাল থেকে বর্তমান সময়ের মধ্যে সর্বনিম্ন।
চলতি মাসের প্রথম দিন এক মার্কিন ডলারের মান ছিল ০.৮৭ পাউন্ড। গতকাল রবিবার এক মার্কিন ডলারের মান ছিল ০.৯৩ পাউন্ড।
এদিকে এ ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে ব্যবসায়ী মহলে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এ কারণে জাপানী গাড়ি প্রস্তুতকারকদের থেকে অস্ট্রেলিয়ান খনি শ্রমিক সবার জীবনযাপন ব্যহত হয়েছে।
সিঙ্গাপুরে রাবোব্যাঙ্কের কৌশলবিদ মাইকেল এভরি বলেন, এখন ঝুঁকি নিয়েই বাণিজ্য হিসাবে ডলার কিনতে হবে। আর কোথাও যাওয়ার নেই।
একদিনের ব্যবধানে রেকর্ড মান কমেছে পাউন্ডের। ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি টাকার মান কমে যাওয়াও অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রার মান এক ডলারে হয়েছে ১০৫ টাকা। গতকালই এই মান এক ডলারের বিপরীতে ছিল ১০৩.৭৫ টাকা। এর প্রভাবে স্টক মার্কেটেও ধাক্কা লেগেছে। এশিয়া-প্যাসিফিক শেয়ারের বিস্তৃত সূচক ১% কমে সর্বনিম্ন হয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, ইউক্রেনে রুশ হামলার মধ্যে এবারের শীতে জ্বালানি সংকটের ঝুঁকি রয়েছে। বাণিজ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। এ পরিস্থিতিতে ডলারের বিপরীতে ইউরোর মানও ২০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন হয়েছে।
আজ এক ডলারের বিপরীতে গুনতে হচ্ছে ৮১.৪৯ রুপি। গতকাল রবিবার এক মার্কিন ডলারের মান ছিল ভারতীয় মুদ্রায় ৮১.২৬ রুপি।