ইনিংসের শুরুটা ছিল একেবারেই ধীরগতির। নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের দ্বিতীয় সেমি ফাইনালে থাইল্যান্ডের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের পরও ৫ উইকেটের খরচায় ১১৩ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ নারী দল। স্বল্প পুজির সেই ম্যাচে বোলারদের নৈপূণ্যে থাইল্যান্ডকে ১০২ রানেই আটকে দিয়ে বাছাইপর্বের ফাইনাল নিশ্চিত করল টাইগ্রেসরা।
থাইল্যান্ডের বিপক্ষে সেমি ফাইনালে ১১ রানে জয় পাওয়ায় ২০২৩ সালের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্ব নিশ্চিত হল নিগার সুলতানা জ্যোতির দলের। একইসঙ্গে মূল পর্ব নিশ্চিত হয়েছে আয়ারল্যান্ডেরও।
ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকবে আইরিশরা। প্রথম সেমি ফাইনালে জিম্বাবুয়েকে তারা হারিয়েছে ৪ রানে। ২৫ সেপ্টেম্বরের ফাইনালে মাঠে নামবে দুই দল।
আবু ধাবির শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকে টি-টোয়েন্টির স্বাদ এনে দিতে ব্যর্থ হন টাইগ্রেস ব্যাটাররা। দলীয় ৩৪ রানে প্রথম উইকেটের পতন ঘটলেও ১০ ওভারে তাদের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৫০ রান।
ইনিংসের সপ্তম ওভারে ১৭ বলে ১১ করে বিদায় নেন ফারজানা হক। এরপর মুর্শিদা খাতুন ও নিগার সুলতানা লড়াই শুরু করলেও খুব একটা সুবিধা করতে পারছিলেন না থাই বোলারদের বিপক্ষে।
৩৫ বলে ২৬ করে মুর্শিদা যখন বিদায় নেন দলের বোর্ডে তখন স্কোর ১১.৩ ওভারে ৫২ রান। হাল ধরে রাখতে ব্যর্থ হন নিগারও। তাকেও মাঠ ছাড়তে হয় ১৭ করে।
শেষদিকে রুমানা আহমেদের অপরাজিত ২৪ বলে ২৮ ও ঋতু মণির ১০ বলে ১৭ রানের ইনিংসের সুবাদে ১১৩ রানের পূঁজি নিয়ে মাঠ ছাড়তে সক্ষম হয় টাইগ্রেসরা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে সালমা-মেঘলা-রুমানাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে সুবিধা করতে পারেনি থাই ব্যাটাররা। ১৩ রান তুলতেই তারা হারিয়ে বসে তাদের ৩ টপ অর্ডারকে। যার শুরুটা হয় ম্যাচের তৃতীয় ওভারে দলীয় ৭ রানে।
থাই শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন অভিজ্ঞ বোলার সালমা খাতুন। বড় শট খেলতে গিয়ে মিস টাইমিংয়ের শিকার হয়ে ৯ বলে ২ রান করে মাঠ ছাড়তে হয় ওন্নিচা কামচম্ফুকে।
এরপর ব্যাক টু ব্যাক আঘাত হানেন সানজিদা আক্তার মেঘলা। তার দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে স্টাম্প হারিয়ে সাজঘরের পথ ধরতে হয় থাইল্যান্ডের ওপেনার নান্নাপাতকে। এক বল বাদেই রানের খাতা খোলার আগেই এই পেইসারের দ্বিতীয় শিকার হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় নাত্তায়া বুচাথামকে।
দ্রুত ৩ টপ অর্ডারকে হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যাওয়া থাইল্যান্ডকে ট্র্যাকে ফেরানোর মিশনে নামেন নাত্থাকান চানথাম ও অধিনায়ক নারুমল চারুই। কিন্তু ইনিংসের ১৩তম ওভারের শেষ বলে অধিনায়ককে ফিরিয়ে ব্রেক থ্রু আনেন নাহিদা আক্তার।
তবে উইকেট আগলে ধরে রেখে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন চানথাম। কিন্তু তার ৫১ বলে ৬৪ রানের ইনিংসটি কেবল কমিয়েছে পরাজয়ের ব্যবধানটাই। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১০২ রান তুলতে সক্ষম হয় থাইল্যান্ড।
আর সেই সুবাদে বাংলাদেশ পায় ১১ রানের দুর্দান্ত এক জয়।