জাতিসংঘের মাধ্যমে মিয়ানমারের সামরিক জান্তার ওপর আরও চাপ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি আসন্ন নির্বাচনকে স্বীকৃতি না দিতেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে দেশটি।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বার্ষিক অধিবেশন চলাকালীন মিয়ানমারর বিষয়ে মার্কিন কূটনীতির নেতৃত্বদানকারী স্টেট ডিপার্টমেন্টের কাউন্সেলর ডেরেক চোলেট এই আহ্বান জানান।
চোলেট জানান, এই বিষয়ে সমাধানের জন্য তিনি নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশের সঙ্গে কথা বলেছেন। যদিও সেই প্রচেষ্টা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।
চোলেট বলেন, আমরা মনে করি নিরাপত্তা পরিষদকে পদক্ষেপ গ্রহণে রাশিয়া ও চীনের অবস্থান ভালোভাবে বোঝা দরকার। ওই দেশ দুটি এ বিষয়ে কী ভাবছে সেটিও জানা জরুরি।
মিয়ানমারের চলমান উত্তেজনার মধ্যে এ মাসে দেশটির উত্তর-মধ্য অঞ্চলে বিমান হামলায় একটি স্কুলের ৭ শিশুসহ ১৩ জন নিহত হয়েছেন। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সুচির নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে মিয়ানমারের জাতীয় ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী।
চোলেট জানান, তিনি দেশটির জাতীয় ঐক্য সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। তারা প্রত্যেকে ক্ষমতাচ্যুত অং সান সু চির দলকে সমর্থন করেন।
আগামী বছরের আগস্টে জান্তা সরকারের পরিকল্পনায় অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন রাখা উচিত বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র।
চোলেট বলেন, “রাজনৈতিক বন্দীদের আটকে রেখে ও হত্যা করে অবাধ নির্বাচন হতে পারে না। এছাড়া অং সান সু চিকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ২০ মাস ধরে জনসম্মুখের বাইরে রাখা হয়েছে। ফলে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়ার সম্ভাবনা কম।”
এর আগে, আগামী আগস্টের নির্বাচনকে জালিয়াতি উল্লেখ করে মিয়ানমারের অধিকার পরিস্থিতির বিষয়ে জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক টমাস অ্যান্ড্রুস সতর্ক করে দিয়েছিলেন।
সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারের জান্তা নেতাদের লক্ষ্যবস্তু করাসহ একাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।