এক মাসেরও বেশি সময় ধরে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও আরাকান বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরেও মিয়ানমারের গোলা পড়েছে।
এতে সম্প্রতি বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া একজন রোহিঙ্গা নাগরিক নিহত হয়েছেন। পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।
মিয়ানমার সীমান্তে চলমান উত্তেজনায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে নো-ম্যানস ল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় সাড়ে চার হাজার মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক। তারা এই শঙ্কাজনক পরিস্থিতি থেকে নিজেদের বাঁচাতে জাতিসংঘের কাছে সাহায্য চেয়েছেন।
জাতিসংঘের সদর দপ্তর নিউইয়র্কে পাঠানোর এক চিঠিতে তারা বলেছেন, আমরা মিয়ানমারে গণহত্যা মুখে পড়ে নিজেদের সুরক্ষা করতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের নো-ম্যানস ল্যান্ডে (শূন্যরেখায়) আশ্রয় নিয়েছি।
“গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এলোমেলোভাবে আবারও আমাদের ক্যাম্প লক্ষ্য করে ইচ্ছাকৃতভাবে মর্টার শেল নিক্ষেপ করেছে। এতে মোহাম্মদ একবাল (১৭) নামে আমাদের একজন নিহত হয়েছেন এবং পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছেন।”
চিঠিতে আরও বলা হয়, আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষের অজুহাতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দাদের প্রায়ই মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গুলি ও ভারী গোলাবর্ষণের হুমকির মধ্যে থাকতে হচ্ছে।
এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ ও নিজেদের আদিভূমিতে মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের জন্য জাতিসংঘকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।