শুরু হলো বন্যার কারণে স্থগিত হওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় সারা দেশে একযোগে শুরু হয় এ পরীক্ষা। এতে অংশ নিয়েছে ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ শিক্ষার্থী।
এবার সংশোধিত ও পুনর্বিন্যাস করা সিলেবাসে ৩ ঘণ্টার পরিবর্তে ২ ঘণ্টা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে এমসিকিউ ২০ মিনিট, লিখিত ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট।
পরীক্ষার নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরীক্ষার্থীদের ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে উপস্থিত থাকতে হবে। প্রশ্নপত্র ফাঁস এড়াতে পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে কেন্দ্র সচিবের মোবাইলে পরীক্ষার সেট কোড পৌঁছে যাবে। তিনি স্মার্ট ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না, তবে ফিচার ফোন সঙ্গে রাখতে পারবেন। তিনি ছাড়া আর কেউ পরীক্ষার কেন্দ্রে মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন না।
অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থীকে নির্দিষ্ট সময়ের পরে প্রবেশ করতে দিলে তাদের নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, বিলম্ব হওয়ার কারণ ইত্যাদি একটি রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ করে ওইদিনই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবেদন দিতে হবে।
পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশিত হবে। সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোর তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ১০ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। আর মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ১০ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ১১ অক্টোবর থেকে ১৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে।
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এবার মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ জন। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সারা দেশের ২৯ হাজার ৫১৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ৩ হাজার ৭৯০টি কেন্দ্রে এসএসসি, দাখিল এবং এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় অংশ নেবে।
প্রসঙ্গত, দেশব্যাপী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল গত ১৯ জুন। তবে সিলেট বিভাগসহ ময়মনসিংহ অঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলের কিছু জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ১৭ জুন এসএসসি পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা আসে।