অভয়ারণ্য
ছড়ায় স্মৃতির ধুলোবালি
ধুলো মাখি
উচ্চারণ করি মাটি-
মাটি যেন
আমার দুঃখ পাওয়া
বিবর্ণ বয়স্ক সেই মা-টি!
ছাই
অবাক হয়ে দেখি
দুঃখ তোর দুরূহ বাঁক খুঁজে
তাকিয়ে আছে আমার দু’ টি চোখে
ছড়িয়ে পড়ে আলোর ধারাপাত
একটুখানি বিষণ্নতা মেখে
মানুষ কেমন বোকা হচ্ছে রোজ
মেনে নিচ্ছে দুর্নীতির খেলা
মেনে নিচ্ছে ধর্ষণের স্রোত
মানুষকে রোজ বোকা বানায় কিছু মানুষ
নতুন কোনও শব্দ দিয়ে
জাল বিছিয়ে
দুঃখ তোর
লুকিয়ে থাকে দুরূহ বাঁকে
তাকিয়ে দেখি তাই
হৃদয় থেকে ঝরে পড়ছে মন,
ভালবাসার ছাই।
ওজন
যে সহ্য করেছে খিদে
সে জানে খাবার কত মূল্যবান;
যে সহ্য করেছে ঘৃণা
সে- ই জানে
ভালবাসা কত দামী হতে পারে।
আগুন ও জটিলতা
জটিলতা হালকা আগুন হয়ে
জ্বলে উঠলে
আমি আগুনকেই জটিল ভেবে বসি-
যদিও আগুন
পুড়িয়ে ছারখার করে দিতে পারে
সব জটিলতা।
ভৈরবী
কখনও দেখেছ প্রকৃতি কি?
যদি পারো , ফুলের রাজ্যে দিও উঁকি।
যদি আকাশ- বাতাস ছোঁড়ে হাসি
তুমি বাজিও তখন ভাঙা বাঁশি
যদি রোদের গন্ধ কাছে আসে
তুমি বোলো , অনামিকা ফুল ভালবাসে…
অনামিকা রোজ ভোরে উঠে
ভোরের পাখিকে ডেকে তোলে-
অনামিকা ভোর খোঁজে বলে
এখনও তোমার কথা ভাবে
যে দিন ও ভোর খুঁজবে না
সে দিন তোমাকে ভুলে যাবে।
প্রবাহ
আপনি ফিরে তাকাবেন , আমি ভাবতেই পারিনি
আপনার চোখে এত ক্রোধ , এত রেগে থাকা সবসময়।
আমার দিকে তাকালে আপনার কোনও ক্ষতি হবে না কি!
আপনি কখনও বাগানবাড়ি দেখেছেন?
পুকুর , চারিদিকে আম জাম নারকেল গাছ … ছাড়িয়ে হাঁটুন
পেয়ে যাবেন দিগন্তবিস্তৃত মাঠ। আরও হাঁটুন , কি সুন্দর ধানখেত…
জানেন ওই সুন্দর বাগানবাড়ির একটি ঘরে
একদিন দুপুরে
অনিরুদ্ধ আমাকে …
আমি পাখির ডাক শুনতে পেয়েছি তখন
জানলা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখেছি
একটু একটু করে হারিয়ে যাচ্ছে দুপুর।
আর দুপুরের ভিতরে ঢুকে পড়ছে আমার
অনির্বচনীয় মন।
আপনাকে বলতে পেরে হালকা লাগছে
মনটা ভারি হয়ে ছিল
অনিরুদ্ধর কোনও পাত্তা নেই
ও এখন অন্য কারও সঙ্গে
… তবু আপনি ফিরে তাকালেন, কি আশ্চর্য
আপনার উজ্জ্বল চোখের দিকে তাকিয়ে
আমি ভেবে চলেছি
আপনার ছোঁয়ায় আমার অস্পষ্ট মন জ্বলে উঠবে আবার!