চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শক্তিশালী ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ৯৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জীবিতদের উদ্ধারে তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান চলছে। রিখটার স্কেলে ওই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৮। ২০১৭ সালের পর ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে আরও বহু মানুষ আহত হয়েছে। ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত সপ্তাহে সিচুয়ান প্রদেশে ওই ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এতে প্রদেশের গাঞ্জে তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উদ্ধারকর্মীদের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় প্রচারমাধ্যম সিসিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত ২৫ জন নিখোঁজ রয়েছে।
ভারি বর্ষণ এবং ভূমিধসের ঝুঁকি থাকায় জীবিত ও মরদেহ উদ্ধারে তল্লাশি ও উদ্ধারকাজ ব্যহত হচ্ছে। এছাড়া বহু মানুষ অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপের তথ্য অনুযায়ী, সিচুয়ান প্রদেশের কাংডিং শহরের প্রায় ৪৩ কিলোমিটার (২৬ মাইল) দক্ষিণ-পূর্বে ১০ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
সিচুয়ান প্রদেশের রাজধানী চেংডু এবং চোংকিংসহ কাছাকাছি বিভিন্ন এলাকায় ভূমিকম্পের পর বেশ কয়েকবার আফটার শক অনুভূত হয়। সেখানে ইতোমধ্যেই লাখ লাখ মানুষ করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউনের আওতায় রয়েছে। ফলে লোকজন নিজেদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি পাননি।
চীনের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমিকম্প একটি স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্পপ্রবণ হয়ে উঠেছে।
এর আগে ২০০৮ সালে সিচুয়ানের ওয়েনচুয়ান কাউন্টিতে ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষ মারা যায়। সে সময় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। গত জুনেও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে দুই দফায় ভূমিকম্পে অন্তত চারজন নিহত ও কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়।
এদিকে চেংডুর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এক ঘোষণায় জানিয়েছে, যেসব জেলায় নতুন করে কোভিড সংক্রমণ ধরা পড়বে না সেখানে সোমবার থেকে লকডাউন তুলে নেওয়া হবে। বর্তমানে ওই প্রদেশের ২ কোটি ১০ লাখের মতো মানুষ লকডাউনের আওতায় রয়েছে। নতুন করে ওই শহরে ১৪৩টি কেস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশিই উপসর্গহীন।