তিউনিসিয়া উপকূলে একটি নৌকাডুবে যাওয়ার ঘটনায় কমপক্ষে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত আরও ১২ জন নিখোঁজ রয়েছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে তিউনিসিয়ার উপকূলরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে, তারা ১৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে। দুর্ঘটনার সময় ওই নৌকায় ৩৭ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী ছিলেন। তারা ইতালির উদ্দেশে যাত্রা করেছিলেন।
এদিকে স্থানীয় সময় শনিবার রাতে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানানো হয়। ফলে এখন পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
কেন্দ্রীয় ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে চলতি বছর এক হাজারের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই উন্নত জীবনের আশায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানিয়েছে, প্রায় এক হাজার ৩৩ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে বা নিখোঁজ হয়েছে। এছাড়া আরও ৯৬০ জন ডুবে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সাক্স অঞ্চল থেকে ওই নৌকাটি যাত্রা করেছিল। পরে মাহদিয়ার চেব্বার কাছে উপকূল থেকে প্রায় ৪০ মাইল দূরে নৌকাটি ডুবে যায়।
ইউরোপে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে ভূমধ্যসাগর অতিক্রমের চেষ্টা করা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের কাছে সাক্স অঞ্চলের চারপাশের উপকূল একটি প্রধান কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।
ইতালীয় দ্বীপ ল্যাম্পেডুসা তিউনিসিয়া এবং সিসিলির পূর্ব উপকূলের মধ্যে অবস্থিত এবং প্রায়ই উত্তর আফ্রিকা থেকে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টারত অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য একটি গন্তব্য হয়ে উঠেছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্ত বিষয়ক সংস্থা ফ্রন্টেক্সের মতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্টের মধ্যে কেন্দ্রীয় ভূমধ্যসাগরীয় রুট দিয়ে ৫২ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশীর অনুপ্রবেশ ঘটেছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই তিউনিসিয়া, মিশর এবং বাংলাদেশের অভিবাসনপ্রত্যাশী।
এর আগে গত এপ্রিলে তিউনিসিয়া উপকূলে অভিবাসীদের বহনকারী চারটি নৌকা ডুবে গেছে। এতে ১২ জন নিহত হয় এবং নিখোঁজ হয় আরও ১০ জন। এসব নৌকায় আফ্রিকার ১২০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী ছিল। তারা ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপের দেশ ইতালি যাওয়ার চেষ্টা করছিল।