কারাগারে বাবা-ভাইদের দেখতে যাওয়ার পথে গণধর্ষণের শিকার কিশোরী

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
2 মিনিটে পড়ুন

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বেলসাড়া গ্রামের এক কিশোরী কারাগারে থাকা বাবা ও ভাইদের দেখতে যাওয়ার পথে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন।

শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে ঠাকুরগাঁও রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন।

পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে ওই তরুণী বাড়ি থেকে ঠাকুরগাঁও কারাগারে বাবা ও দুই ভাইয়ের সঙ্গে দেখতে করতে যান। ফেরার পথে সিএনজিতে ওঠেন। একই গ্রামের বাবলু, তালেব ও আসলামসহ পাঁচজন ওই সিএনজিতে ওঠে। তারা ঠাকুরগাঁও রোড এলাকায় অস্ত্রের মুখে কিশোরীকে একটি গুদামঘরে নিয়ে গণধর্ষণ করে। গভীর রাতে গোবিন্দনগর আখের ফার্মের রাস্তার পাশে তাকে ফেলে রেখে যায়। পথচারীরা তাকে দেখতে পেয়ে জাতীয় জরুরি সহায়তা নম্বর ৯৯৯-এ কল করলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। এরপর ভুক্তভোগীকে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়।

ঠাকুরগাঁও সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. রকিবুল আলম বলেন, “নির্যাতনের শিকার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। গুরুতর আহত হওয়ায় তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।”

- বিজ্ঞাপন -

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, “ঘটনাটি বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসিকে জানানো হয়েছে। ভুক্তভোগী যাদের নাম বলেছেন, তাদের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধ আছে পরিবারের। অভিযুক্তরা তার আত্মীয়। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এর আগে গত বুধবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে তরুণীর বাবাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠান। খবর পেয়ে তার ছেলে ইউএনও অফিসে গিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করলে ছেলেকেও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে তরুণীর আরেক ভাইয়ের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে প্রতিপক্ষ। ওই মামলায় তার ভাই কারাগারে রয়েছেন।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!