দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলার স্বনামধন্য বাংলা ভাষা ও সাহিত্য চর্চার প্রাণকেন্দ্র ‘বাংলার মুখ’ শিক্ষক দিবসের আয়োজন করেছিল। প্রায় দুই শতাধিক ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতিতে বাংলার মুখ সভাঘরে ড.পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয় ‘সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ সম্মাননা ২০২২’ তিনি ইতিমধ্যে দুই বাংলার অত্যন্ত জনপ্রিয় সাহিত্যিক।
তিনি স্বনামধন্য শিক্ষাবিদ ও গবেষক। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য তাঁর হাতে এই সম্মান তুলে দেওয়া হয়। শিক্ষা জগতে তাঁর অবদানের কথাও উল্লেখ করা হয়। পাশাপাশি ‘বাংলার মুখ পুরস্কার ২০২২’ তুলে দেওয়া হয় প্রখ্যাত কবি ও সম্পাদক কবি সুদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে। কবিকে এই পুরস্কার দেওয়া হয় বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য। পার্থজিৎ বাবু বলেন, বাংলার পাড়ায় পাড়ায় এমন ভাষা ও সাহিত্যচর্চার কেন্দ্র গড়ে ওঠা প্রয়োজন। বাংলার ইতিহাসে কিংবদন্তি শিক্ষকদের কথা বলতে গিয়ে রামমোহন, বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ, অবনীন্দ্রনাথ প্রমুখের কথা তিনি উল্লেখ করেন।
কবি সুদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পুরস্কার পেয়ে খুবই ভাল লাগছে। এতগুলো ছাত্র-ছাত্রীর উপস্থিতি এই সংবর্ধনা সভাকে বিশেষ প্রাণবন্ত করেছে।
বিশিষ্ট শিক্ষক উৎপল দাসের হাতে তুলে দেওয়া হয়, ‘রঙ্গমঞ্চ সেনা সম্মাননা ২০২২’ এবং অধ্যাপক পীযূষ দলপতিকে দেওয়া হয় ‘সহজ মানুষ সম্মাননা ২০২২’, বাংলার মুখের অত্যন্ত কৃতি ছাত্র উজ্জল হালদারের হাতে কবি সুদীপ্ত বন্দোপাধ্যায় বাংলার মুখ স্বর্ণপালক সম্মান তুলে দেন। ঝলমলে পরিবেশে গান, আবৃত্তি, নৃত্য ও বক্তৃতা ছিল আলাদা আকর্ষণের বিষয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা ও বাচিক শিল্পী অসীম চক্রবর্তী। সমগ্র অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন ডায়মন্ড হারবার শহরের বিশিষ্ট চিকিৎসক ও আবৃত্তিশিল্পী ডা: হিমাদ্রি পাল। অনুষ্ঠানে সুন্দর সঞ্চালনা করেন হৃষিকেশ মন্ডল ও রাজেশ কয়াল। প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার কবি অবশেষ দাস বলেন, আগামীদিনে আরও ব্যাপকভাবে কাজ করতে চাই। ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে বাংলার ঘরে ঘরে সংস্কৃতির আলো পৌঁছে দেব। আমরা এই কাজ প্রায় পঁচিশ বছর ধরে করছি। এবার থেকে প্রতিবছর একটি করে পূজাবার্ষিকী প্রকাশ করবার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। সেইসঙ্গে আগত সকল অভ্যাগতকে কৃতজ্ঞতা জানান। সমাপ্তি কয়াল, ঈশানী মোদক, সুস্মিতা মোদক,অংশিকা দাস প্রমুখের নৃত্য ছিল নজর কাড়া। আবৃত্তি পরিবেশন করেন শ্রীমতী শুক্লা পাল চট্টোপাধ্যায়, অপরাজিতা সানা প্রমুখ।