চাহিদা ও জোগানের ভিত্তিতে ব্যাংকগুলোকে ডলারের দাম নির্ধারণ করতে দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ অথরাইজড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর আগে গত মে মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক একই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু পরে ডলারের বিপরীতে টাকার মান শক্তিশালী রাখতে তা থেকে পিছিয়ে যায়।
সভা শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, “ডলারের বিনিময় হার ব্যাংকগুলোই নির্ধারণ করবে, সারা বিশ্বে এখন এই পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে।”
তিনি বলেন, অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, “চাহিদা ও জোগানের ভিত্তিতে ডলারের দাম ঠিক হবে। বাফেদা ও এবিবি এটা নির্ধারণ করবে। সব ব্যাংক তা মেনে চলবে। তারা আমাদের জানাবে, আমরা শুধু পর্যবেক্ষণ করব।”
প্রবাসী ও রপ্তানি আয়, আমদানি বিল নিষ্পত্তিসহ প্রতিটি লেনদেনে ডলারের দাম হবে পৃথক। তবে সব ব্যাংক প্রতি লেনদেনেই একই দামে ডলার কেনাবেচা করবে। আর কেনাবেচায় মুনাফা হবে সর্বোচ্চ এক টাকা।
বাজারের অস্থিরতা কাটাতেই ডাকা সভায় ডলারের চাহিদা ও সরবরাহ নিয়ে আলোচনা হয়। এতে ব্যাংকগুলো তুলে ধরে ডলার জোগানের প্রক্রিয়া ও দামের বিষয়। এছাড়া আমদানি দায় পরিশোধের বাধ্যবাধকতার বিষয়টিও তুলে ধরে ব্যাংকগুলো। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ডলার কেনাবেচায় এক টাকার বেশি মুনাফা না করার বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি ব্যাংকগুলোকে আগামী সপ্তাহে ডলার–বাজার নিয়ে একটি পর্যালোচনা ও ডলারের দামের হিসাব জমা দিতে বলা হয়। নতুন দামে সব ব্যাংক লেনদেন করবে বলে জানানো হয়।
ডলারের দাম স্থিতিশীল রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে। ইতোমধ্যে প্রতি ডলারের দাম ৮৬ থেকে বাড়িয়ে ৯৫ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে। যদিও ব্যাংকগুলোতে ডলার কেনাবেচা হচ্ছে আরও অনেক দামে।
ব্যাংকগুলো বৃহস্পতিবার আমদানিতে ডলারের দাম নিয়েছে ১০৭ টাকা পর্যন্ত। প্রবাসী আয় এনেছে ১১২ টাকা পর্যন্ত দামে ও রপ্তানি আয় নগদায়ন করেছে ১০৩-১০৪ টাকা দামে।