বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ বায়ু মানের শহরের তালিকায় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। বায়ু মানের সূচক (একিউআই) অনুযায়ী শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় ঢাকায় বাতাসের মান ১৬০।
তালিকায় পাকিস্তানের লাহোর ও করাচি এবং চীনের উহান যথাক্রমে ১৮০, ১৬৯ ও ১৬১ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার শীর্ষ তিনটি স্থানে রয়েছে।
সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য বায়ুর মান ১০১ থেকে ২০০-এর মধ্যে থাকলে সেটিকে “অস্বাস্থ্যকর” বলে মনে করা হয়। অন্যদিকে, এর মান ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকলে এটিকে “ঝুঁকিপূর্ণ” বলা হয় এবং মান ৩০১ থেকে ৪০০ থাকলে তা “বিপজ্জনক” বলে বিবেচিত হয়। কারণ এ ধরনের বায়ু সাধারণ মানুষের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরেই ঢাকা বায়ু দূষণে ভুগছে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বায়ু দূষণে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হয়। মূলত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রে তীব্র সংক্রমণ বায়ু দূষণের ফলাফল।