আফগানিস্তানের বিপক্ষে পাকিস্তানের ম্যাচের আগে বাবর আজমরা দাঁড়িয়ে ছিল কঠিন সমীকরণের সামনে। তবে তা নিমিষেই মিলে গেল ম্যাচের শেষ প্রান্তে। ৪ বল হাতে রেখে এক উইকেটের নাটকীয় জয়ে এশিয়া কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান।
ম্যাচ জিতলে নিশ্চিত হবে ফাইনাল, হারলে পড়তে হবে কঠিন হিসেবে। পরিসংখ্যান বলছিল, পাকিস্তান এ ম্যাচটি হারলেও ফাইনালে যাবার সম্ভাবনা থাকবে, সেক্ষেত্রে আফগানিস্তানের বিপক্ষে পরাজিত হতে হবে শ্রীলঙ্কাকে। এছাড়াও তাকিয়ে থাকতে হবে ভারত-আফগানিস্তানের ম্যাচের দিকে। সে পথে না গিয়ে জয়েই সমাধান খুঁজেছে পাকিস্তান।
আফগানিস্তানকে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে এশিয়া কাপের পঞ্চাদশ আসরের ফাইনাল নিশ্চিত করল বাবর আজমের দল। আর এ ফলাফলে এশিয়া কাপের মিশন থেকে ছিটকে গেল ভারত। পাকিস্তান এই ম্যাচে পরাজিত হলে ভারত থেকে যেতো এশিয়ার সেরা হওয়ার দৌড়ে।
দুবাইয়ে টসে হেরে ব্যাট করতে নামে আফগানিস্তান। শুরুটা মারকুটে হলেও দলীয় ৩৬ রানে গুরবাজের আউট হওয়ার পর খেই হারিয়ে ফেলে তারা। এরপর হারিস-হাসনাইনদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নিয়মিত বিরতিতে পড়তে থাকে উইকেট।
চেপে ধরা বোলিংয়ের বিপরীতে হাত খুলে খেলতে ব্যর্থ হন জাদরান, নাজিবুল্লাহরা। শেষতক ৬ উইকেটের খরচায় ১২৯ রান তুলতেই থেমে যায় আফগানদের ইনিংসের চাকা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বড় রকমের হোঁচট খায় পাকিস্তান। দলীয় ১৮ রানেই তারা হারিয়ে বসে বাবর আজম ও ফখর জামনকে। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরের পথ ধরেন বাবর। ফজল হক ফারুকির বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। ভাগ্য সহায় হয়নি ফখর জামানেরও। রান আউটের শিকার হয়ে ৫ রান করে তাকেও ফিরতে হয় প্যাভিলিয়নে।
রাশিদ খানের ছোবলে ইনিংস বড় করা সম্ভব হয়নি মোহাম্মদ রিজওয়ানেরও। ২০ রানেই তাকে সাজঘরের পথ দেখিয়ে পাকিস্তানের তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটান আফগান এই লেগি। দলের স্কোর সে সময় ৩ উইকেটের খরচায় ৪৫ রান। এরপর আর বিপদ ঘটতে দেননি ইফতিখার আহমেদ ও শাদাব খান। বিপদ এড়িয়ে দলকে নিয়ে যেতে থাকেন জয়ের দ্বারপ্রান্তে।
দেখেশুনে সতর্ক হয়ে খেলতে থাকা এই জুটি ভাঙ্গেন ফরিদ আহমেদ। ৩৩ বলে ৩০ করা ইফতিখার আহমেদকে ফেরান ইবরাহিম জাদরানের ক্যাচে পরিণত করে। এই উইকেট পতনের পর পরাজয়ের শঙ্কা উঁকি দেয় পাকিস্তানের শিবিরে। তবে সকল চোখ রাঙ্গানি উপেক্ষা করে আগ্রাসী ভূমিকায় অবতীর্ণ হন শাদাব। যদিও ২৬ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেলে রাশিদ খানের শিকার বনে মাঠ ছাড়তে হয় তাকেও।
এরপর শেষ দিকে আসিফ আলী ও নাসিম শাহের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ১ উইকেটের নাটকীয় জয় পায় পাকিস্তান। আর তাতেই ভারতকে এশিয়া কাপের মিশন থেকে ছিটকে দেয়ার পাশাপাশি প্রথম দল হিসেবে ফাইনাল নিশ্চিত হয় বাবর আজমদের।