দেশে তিন মাসে কোটিপতি বেড়েছে ৪ হাজার ৮৬০ জন। চলতি বছরের মার্চের শেষে কোটি টাকা আমানতের অ্যাকাউন্ট ছিল ১ লাখ ৩ হাজার। জুনের শেষে যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮ হাজারে।
চলতি বছরের মার্চের শেষে ২৫ কোটি টাকার ওপরে জমা থাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৯৭৫টি। যা জুনের শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ১১৮টিতে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের জুনের শেষে শেষে কোটি টাকার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ছিল ৯৯ হাজার ৯১৮টি। যা সেই বছরের ডিসেম্বরের শেষে গিয়ে দাঁড়ায় এক লাখ এক হাজার ৯৭৬টিতে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দেশে প্রায় ৯৫ মিলিয়ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে যাদের আমানত ৫ হাজার টাকার কম এবং ১১৬.১ মিলিয়ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের আমানত ১ লাখ টাকার কম।
ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, ধনীদের জন্য বিনিয়োগের সুযোগের অভাব থাকায় বড় ব্যাংক আমানতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেহেতু ব্যাংকে টাকা রাখা অন্যান্য বিনিয়োগের চেয়ে মোটামুটি ভালো তাই অনেকে এদিকে ঝুঁকছেন। এছাড়া, মানি লন্ডারিংয়ের সুযোগ কমে যাওয়ায় এবং এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে বৈশ্বিক বিনিয়োগের চাহিদা কম থাকায় কোটি টাকার অ্যাকাউন্ট বেড়েছে।
ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি, রেকর্ড বাণিজ্য ঘাটতি, বিপুল বৈদেশিক ঋণ এবং ডলারের ঘাটতির কারণে দেশে সামষ্টিক অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে। একই সময়ে অল্প সংখ্যক অ্যাকাউন্টে বেশি টাকা জমা থাকা ক্রমবর্ধমান বৈষম্যকে নির্দেশ করে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এক কোটি টাকার ওপরে থাকা অ্যাকাউন্টের সংখ্যা মোট ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ১% এরও কম। এই অ্যাকাউন্টগুলোতে আমানতের পরিমাণ মোট আমানতের ৪০% এরও বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ সালের মার্চ মাসে ১ কোটি টাকার ওপরে জমা থাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ছিল ১৯ হাজার ৬৩৬টি।