খুলনা মহানগরীর খালিশপুরে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের মামলায় পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক আব্দুস ছালাম খান এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন— আলী আকবর ওরফে হৃদয়, মেহেদী হাসান ওরফে ইবু, সোহেল, আব্দুল্লাহ, আবিদ হাসান ওরফে মোহন।
রায় ঘোষণার সময় আলী আকবর ওরফে হৃদয় ও মেহেদী হাসান ওরফে ইবু আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি তিনজন জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন।
রায়ের তথ্য জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) ফরিদ আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আসামি আলী আকবর ও মোহন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ছাড়া এই মামলায় মোট ১৭ জন সাক্ষী ছিলেন। তাদের মধ্যে ১২ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।’
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৩ মার্চ সন্ধ্যা ৭টার দিকে খালিশপুরের ১ নম্বর বিহারী (আটকে পড়া পাকিস্তানি) ক্যাম্পের টিউবওয়েলের কাছে যায় ওই কিশোরী। সেখান থেকে মোহন তাকে কিছু কিনে দেওয়ার কথা বলে ক্যাম্পের বাইরে নিয়ে যান। পরে আলী আকবর মোটরসাইকেল নিয়ে তাকে অপহরণ করেন, নিয়ে যান চরেরহাট এলাকায় একটি কলার বাগানে। সেখানে রাত ৯টার দিকে পাঁচজন মিলে কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। তারাই আবার রাতে মেয়েটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ি পৌঁছে দেন।
এ ঘটনায় পরদিন ২৪ মার্চ মেয়েটির মা খালিশপুর থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। একই বছরের ২০ জুন খালিশপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কাজী রেজাউল করীম ওই পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।