জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের গেস্টরুমে এক ছাত্রকে নির্যাতনের ঘটনায় চার ছাত্রকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বহিষ্কার হওয়া সবাই ছাত্রলীগ কর্মী। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
বহিষ্কৃতরা হলেন, নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আসাদ হক ও আরিফ জামান সেজান, নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের রায়হান বিন হাবিব এবং আইন ও বিচার বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের মাসুম বিল্লাহ।
নির্যাতিত ছাত্র জাবির সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি একটি অনলাইন পোর্টালের সঙ্গে যুক্ত।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর জানান, ঘটনাটি অধিকতর তদন্তের জন্য শহীদ সালাম-বরকত হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সুকল্যাণ কুমার কুন্ডুকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্যরা হলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ইস্রাফিল আহমেদ, আলবেরুনী হলের প্রাধ্যক্ষ মো. আশরাফুল আলম এবং সদস্য সচিব প্রক্টর অফিসের সহকারী রেজিস্ট্রার সোহেল রানা।
কমিটিকে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
২ আগস্ট জাবির রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের গেস্ট রুমে ডেকে নিয়ে ওই সাংবাদিককে নির্যাতন করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে হলের ৮ ছাত্রলীগকর্মীকে সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে অবাঞ্ছিত করেন জাবি ছাত্রলীগ সভাপতি আখতারুজ্জামান সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন।
ছাত্র নির্যাতনের অভিযোগে ৩ আগস্ট হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা থাকলেও ১৯ দিন পর একটি অসম্পূর্ণ প্রতিবেদন জমা দেয় কমিটি।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির সভায় ওই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয় প্রশাসন।
ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর জানান, হল প্রশাসনের প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই রাতে শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে চার জনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।