ভারতকে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভারত সফর সবসময় তার কাছে আনন্দের।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানানোর পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন তিনি।
মঙ্গলবার সকালে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
দেশটির রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌঁছালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিক স্বাগত জানানো হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে গার্ড অব অনার দেওয়া হয় তাকে। গার্ড অব অনারের পর ভারতীয় নেতৃবৃন্দ এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে শেখ হাসিনাকে পরিচয় করিয়ে দেন নরেন্দ্র মোদি।
এ সময় গণমাধ্যমে নিজের অনুভূতির কথা ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণমাধ্যমে কথা বলার সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “ভারত আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র। যখনই ভারতে আসি তা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের, বিশেষ করে আমার জন্য। আমাদের পারস্পারিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো আমাদের জনগণের জীবনমান উন্নত করা, দারিদ্র দূর করা ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি। আমি মনে করি, এসব বিষয়ে আমরা দুই দেশ একযোগে কাজ করতে পারে। এতে করে শুধু বাংলাদেশ-ভারতই নয়, বরং দক্ষিণ এশিয়ার সবার জীবনমানের উন্নতি ঘটবে; এটাই আমাদের লক্ষ্য।”
তিনি বলেন, “আমি আশা করছি, এটা খুব ফলপ্রসু আলোচনা হবে। আমাদের যে মূল লক্ষ্য অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি করা এবং আমাদের জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণ করা; তা আমরা করতে পারবো। বন্ধুত্বের মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান করা যায়; আমরা সবসময় তা করি।”
নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে সোমবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লিতে পৌঁছান। এদিন দিল্লির পালাম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা অভ্যর্থনা জানানো হয়। তাকে অভ্যর্থনা জানান ভারতের রেল ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী দর্শনা বিক্রম এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান।
মঙ্গলবার সফরের দ্বিতীয় দিনে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের কর্মসূচি রয়েছে। এতে নিরাপত্তা সহযোগিতা, বিনিয়োগ, বর্ধিত বাণিজ্য সম্পর্ক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সহযোগিতা, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, মাদক চোরাচালান ও মানবপাচার রোধ সংক্রান্ত বিষয়গুলো অগ্রাধিকার পাবে।