চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ভূমিকম্পে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.৬। সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পর সিচুয়ান প্রদেশের বেশ কয়েকটি শহরে ‘পাহাড়ের ভূমিধসের কারণে ঘরবাড়ির গুরুতর ক্ষতি’ হয়েছে বলে প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে। এছাড়া একই প্রদেশের কিছু এলাকায় টেলিযোগাযোগ লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, সিচুয়ান প্রদেশের কাংডিং শহরের প্রায় ৪৩ কিলোমিটার (২৬ মাইল) দক্ষিণ-পূর্বে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার গভীরে।
অবশ্য তাৎক্ষণিকভাবে আর কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে কাছাকাছি প্রাদেশিক রাজধানী চেংডু এবং মেগাসিটি চংকিং-এ কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে সেখানকার বাসিন্দারা এএফপিকে জানিয়েছেন। চেন নামে চেংডুর একজন বাসিন্দা জানিয়েছেন, ‘আমি এটি (কম্পন) বেশ দৃঢ়ভাবে অনুভব করেছি। নিচ তলায় আমার কিছু প্রতিবেশী জানিয়েছে- তারাও এটি খুব স্পষ্টভাবে অনুভব করেছে।’
চংকিং-এর এক বাসিন্দা বলেছেন, ভূমিকম্পটি ‘বেশ জেরালো’ ছিল এবং তার পঞ্চম তলার অ্যাপার্টমেন্টের লাইট ও আসবাবপত্র কেঁপে ওঠে। এএফপিকে তিনি বলেন, ‘আমি বেশ ভয় পেয়েছিলাম। কিন্তু এটি এখানকার লোকেদের আতঙ্কিত করেছে বলে মনে হয় না।’
রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিজিটিএন জানিয়েছে, ৫০০ জনেরও বেশি উদ্ধারকর্মীকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আশেপাশের এলাকায় বেশ কিছু আফটারশক (পরাঘাত) রেকর্ড করা হয়েছে।
ইউএসজিএস এর তথ্য অনুসারে, প্রাথমিক ভূমিকম্পের এক ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে পূর্ব তিব্বতে ৪.৬ মাত্রার একটি ছোট কম্পন আঘাত হেনেছে।
উল্লেখ্য, চীনে ভূমিকম্প মোটামুটি সাধারণ ঘটনা। বিশেষ করে দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ভূমিকম্পের দিক থেকে বেশ সক্রিয় এলাকা। ২০০৮ সালে সিচুয়ানের ওয়েনচুয়ান কাউন্টিতে ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়। সেসময় ক্ষয়ক্ষতিও হয় অনেক।
এছাড়া চলতি বছরের জুন মাসে দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে দুটি ভূমিকম্পে অন্তত চারজন নিহত এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়।