কানাডায় ছুরি হামলায় কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৫ জন। উত্তর আমেরিকার এই দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় দু’টি এলাকার অন্তত ১৩টি জায়গায় দুই ব্যক্তি ছুরি নিয়ে হামলা চালালে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।
কানাডার পুলিশের বরাত দিয়ে সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি এবং আলজাজিরা।
রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের সহকারী কমিশনার রোন্ডা ব্ল্যাকমোর এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, রোববার জরুরি ফোন কল পেয়ে জেমস স্মিথ ক্রি নেশনের আদিবাসী সম্প্রদায় এবং সাসকাচোয়ান প্রদেশের নিকটবর্তী শহর ওয়েলডনে ১০ জনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।
তিনি বলেন, ‘ছুরি হামলায় বেশ কিছু মানুষ আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৫ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, আরও বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী নিজে থেকেই হাসপাতালে গেছেন।
প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, ছুরি নিয়ে পৃথক পৃথক এই হামলাগুলো ‘ভয়াবহ এবং হৃদয়বিদারক’ এবং সরকার পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘হামলায় যারা প্রিয়জনকে হারিয়েছেন এবং যারা আহত হয়েছেন; আমি এখন তাদের কথা ভাবছি।’
এদিকে পুলিশ সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তির নাম ডেমিয়েন স্যান্ডারসন এবং মাইলস স্যান্ডারসন বলে জানিয়েছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, অভিযুক্ত এই দুই ব্যক্তির বয়স ৩০-এর ঘরের শুরুর দিকে। এই দুই ব্যক্তিকে সর্বশেষ একটি কালো নিসান গাড়িতে ভ্রমণ করতে দেখা গেছে এবং সেটিও প্রাদেশিক রাজধানী রেজিনাতে। যেখানে হামলা হয়েছে সেই অঞ্চলটি প্রাদেশিক এই রাজধানী থেকে প্রায় ৩২০ কিলোমিটার (২০০ মাইল) দক্ষিণে অবস্থিত।
হামলার পর সাসকাচোয়ানের পুলিশ প্রদেশজুড়ে বিপজ্জনক ব্যক্তিদের সম্পর্কে একটি সতর্কতা জারি করেছে। পরে প্রতিবেশী আলবার্টা এবং ম্যানিটোবার কর্তৃপক্ষও একই পদক্ষেপ নেয়।
এছাড়া আড়াই হাজার জনসংখ্যার জেমস স্মিথ ক্রি নেশন অঞ্চলেও স্থানীয়ভাবে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে সাসকাচোয়ানের প্রধান স্কট মো এক বিবৃতিতে এই হামলাকে ‘অর্থহীন সহিংসতা’ বলে বর্ণনা করেছেন। রোববার টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘এই অনর্থক সহিংসতার কারণে যে ব্যথা এবং ক্ষতি হয়েছে তা যথাযথভাবে বর্ণনা করার মতো কোনও শব্দ নেই। সাসকাচোয়ানের সকলেই ভুক্তভোগী এবং তাদের পরিবারের সাথে শোকাহত।’