নারায়ণগঞ্জে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর র্যালিতে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ৭১ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় আটশ থেকে নয়শ জনকে আসামি করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় সদর মডেল থানার এসআই কামরুজ্জামান বাদী হয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে মামলাটি দায়ের করেন। এ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের হলো। সেখানে মোট আসামি করা হয়েছে ৫ হাজার ৯৭১ জনকে।
এর আগে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সংঘর্ষে নিহত যুবদল কর্মী শাওনের বড় ভাই মিলন হোসেন বাদী হয়ে বিএনপির অজ্ঞাত ৫ হাজার জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছিলেন সদর মডেল থানায়।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমীর খসরু বলেন, পুলিশের উপর হামলা, ভাংচুর, কাজে বাধার অভিযোগে এনে সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলায় ৭১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাত পরিচয় আরও আটশ থেকে নয়শ জনকে আসামি করা হয়। তবে তদন্তের স্বার্থে তিনি এজাহারনামীয় কোন আসামির নাম প্রকাশ করেননি।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবি বলেন, বৃহস্পতিবার পুলিশ বিনা উস্কানিতে বিএনপির র্যালিতে হামলা চালিয়েছে। এর প্রমাণ আমাদের হাতে রয়েছে। এখন টেকনোলজির যুগ। সবকিছু ভিডিও করা থাকে। ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে যে, বিএনপির র্যালিতে কিভাবে পুলিশ কোনো কারণ ছাড়াই হামলা করছে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ নিজের অপরাধ ঢাকতে আমাদের কর্মী নিহত শাওনের ভাইকে দিয়ে মামলা করিয়েছে। যাতে নিজেরা দায়মুক্ত থাকতে পারে। এ ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে খুনের মামলা হওয়া উচিত।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সকালে ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি র্যালি বের করলে সেখানে পুলিশ বাধা দেয়। এতে সৃষ্ট সংঘর্ষে শাওন আহমেদ রাজা নামে এক যুবদল কর্মী নিহত হয়। পুলিশের গুলিতে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে। বিএনপি নেতাকর্মীদের ইটের আঘাতে ১৪ পুলিশ সদস্য আহত হন।