বাগেরহাটের রামপালে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে এক দম্পত্তিকে মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিকার চেয়ে ওই দম্পত্তির স্ত্রী কনিকা হালদার রামপাল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন, যার নং ১৪৬
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলা উজড়কুড় ইউনিয়নের মিরাখালী গ্রামের নিতাই পালের ছেলে বনমালী পালের সাথে ভাগা বেতকাটা গ্রামের কনিকা হালদার ও তার স্বামী মনজিৎ রায়ের দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। গত ৩ আগষ্ট বিকেলে ভাগা বাজার এলাকায় মোটরসাইকেল যোগে যাওয়ার সময় ওই দম্পতিকে গতিরোধ করে তাদের অকর্থ ভাষায় গালিগালাজ ও বিভিন্ন ভয়ভীতি দিতে থাকে। এক পর্যায় বনমালী পাল পাশে পড়ে থাকা কাঠের চলা দিয়ে আচমকা তাদের বেধড়ক মারপিঠ শুরু করে। তাদের ডাক চিৎকারে বনমালী পালিয়ে যায়। গুরুতর অবস্থায় স্থানীয়দের সহায়তায় কনিকা হালদারকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এসময় বনমালী পালিয়ে যাওয়ার সময় ওই দম্পতিকে উদ্দেশ্য করে বলতে থাকেন, এই বিষয় নিয়ে মামলা মকদ্দমা ও কাউকে জানালে জীবনের বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখিন হতে হবে। সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে ওই দম্পতি আরো বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বনমালী পাল কনিকাকে বিভিন্নবাবে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। বিষয়টি একাধিকবার তাকে সতর্ক করলেও সে কোনো কর্ণপাত করেনি বরং আরো বেপরোয়া হয়ে কনিকাকে হয়রানি করতে থাকে। তারা আরো অভিযোগ করেন, মারপিটের ওই দিন কাছে থাকা মনজিৎদের জমি বিক্রির দুই লক্ষ টাকা ও তার স্ত্রীর গলার স্বর্নের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য ৪৪ হাজার টাকা। এসময় বনমালীর সহযোগী উজড়কুড় ইউনিয়নের ভূইয়ার কান্দন গ্রামের রাজ্জাক শেখের ছেলে সেলিম শেখ ও সাথে ছিলেন।
এবিষয়ে অভিযুক্ত বনমালীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি পরিস্থিতির স্বীকার। আমি কাচামালের ব্যাবসা করি। আমার বিরুদ্ধে মারপিট, টাকা কেড়ে নেওয়া ও স্বর্নের চেইন নেওয়ার অভিযোগ সম্পন্ন মিথা ও বানোয়াট তবে মনজিতের সাথে আমার কথা কাটাকাটি হয়েছিলো। আমার মা একজন ক্যানন্সারের রোগী। ইতিমধ্যে মায়ের চিকিৎসায় ৬/৭ লক্ষ টাকা ব্যায় হয়েছে। আমি এখন নিঃশ্ব। আমার বিরুদ্ধে এভাবে মিথ্যা অভিযোগ দিলে আমার কোনো কিছু বলার নেই।
এবিষয়ে রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামসুদ্দীন জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।