জুলাইয়ের তুলনায় আগস্টে আমদানি কমেছে ২৫%

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
3 মিনিটে পড়ুন

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার বাজারকে স্থিতিশীল করতে এলসি (লেটার অফ ক্রেডিট) মার্জিনকে শতভাগে উন্নীত করার পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে জুলাইয়ের তুলনায় আগস্টে আমদানি কমেছে ২৫%।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগস্টে এলসি পেমেন্ট হয়েছে ৫.৯৩ বিলিয়ন ডলার, যা জুলাইয়ে ছিল ৭.৪২ বিলিয়ন ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র অনুযায়ী, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমার আশঙ্কায় প্রয়োজনীয় পণ্য ছাড়া অন্য সব ধরনের পণ্য আমদানিতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক কেবল দৈনন্দিনের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের আমদানির জন্য ডলার বিক্রি করছে এবং অন্যান্য পণ্যের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ এলসি মার্জিন আরোপ করায় এলসি পেমেন্ট ধীরে ধীরে কমে আসছে।

- বিজ্ঞাপন -

এলসি খোলার পরিমাণও বর্তমানে কমেছে এবং ভবিষ্যতে আরও কমবে বলে আশা করছেন তারা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে। নতুন গভর্নর বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন, যার সুফল এখন পাওয়া যাচ্ছে।

চলতি অর্থবছরের আগস্টে আমদানিকারকরা ৫.৩১ বিলিয়ন ডলারের এলসি খুলেছেন, যা আগের মাসের ৬.২২ বিলিয়ন ডলারের চেয়ে ১৭% কম।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে ৬.৮৫ বিলিয়ন, ফেব্রুয়ারিতে ৬.৫৫ বিলিয়ন, মার্চে ৭.৬৭ বিলিয়ন, এপ্রিলে ৬.৯৩ বিলিয়ন, মে মাসে ৭.২৫ বিলিয়ন এবং জুনে ৭.৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

কোভিড-পরবর্তী দেশের রপ্তানির তুলনায় আমদানি বৃদ্ধি এবং বৈশ্বিক বাজারে জ্বালানিসহ সব ধরনের পণ্যের আকাশছোঁয়া দামের কারণে বাংলাদেশ বর্তমানে রেকর্ড বাণিজ্য ঘাটতির মধ্যে রয়েছে।

- বিজ্ঞাপন -

বিদায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরের শেষে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়ায় রেকর্ড ৩৩.২৫ বিলিয়ন ডলারে। একই সময়ে, চলতি হিসাবের ঘাটতিও ১৮.৫০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ডলারের ঘাটতিতে ভুগছে এমন ব্যাংকগুলো ২০২১-২২ অর্থবছরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ৬৬ হাজার ৬৫০ কোটি টাকায় ৭.৬২ বিলিয়ন ডলার ক্রয় করেছে।

গতবছরের ধারাবাহিকতায় জুলাই থেকে চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই ডলার সংকটে পড়েছে ব্যাংকগুলো।

- বিজ্ঞাপন -

বৈদেশিক মুদ্রার বাজার স্থিতিশীল রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিলাসবহুল পণ্যের পাশাপাশি কম প্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি কমাতে এলসি মার্জিন বাড়ানোসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে।

একই সময়ে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি অব্যাহত রেখেছে, যাতে জরুরি সরকারি আমদানি নিষ্পত্তিতে তা ব্যবহার করা যায়।

সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের ৪৭ দিনে ১৭ হাজার ৬০৩ কোটি টাকায় ১.৮ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!