নারায়ণগঞ্জে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে নিহত শাওন সেখানকার এক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতার ভাতিজা বলে দাবি করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শোভাযাত্রা বের করতে গেলে নারায়ণগঞ্জে বাধা দেয় পুলিশ। এতে সংঘর্ষ বাধে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের ২ নম্বর রেলগেট এলাকায় সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে গুলিতে শাওন (২০) নামে একজন নিহত হন। বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, নিহত শাওন তাদের কর্মী।
তবে নিহতের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যে ছেলেটি মারা গেছে, সে সেখানকার একটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ভাতিজা। নিহত ব্যক্তি বিএনপির কর্মী নাকি পথচারী, সেটি এখনো তদন্তাধীন। আমি পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি।
তবে সেই আওয়ামী লীগ নেতার নাম এবং তিনি কোন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তা জানাননি হাছান মাহমুদ।
সংঘর্ষের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি সারাদেশে গণ্ডগোল করার পরিকল্পনা করে কর্মসূচি সাজিয়েছে। সে কারণে সারাদেশে তারা পুলিশের ওপর হামলা করছে। পথচারীদের ওপর হামলা করছে। মানুষের সম্পত্তির ওপর হামলা করছে। অর্থাৎ ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ সালে যে কাজগুলো করেছিল, সেটির নতুন সংস্ককরণ তারা শুরু করেছে। দেশে একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, আমি নারায়ণগঞ্জে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। সেখানে পুলিশ, জেলা প্রশাসন কিংবা সিটি করপোরেশনের অনুমতি ছাড়া বিএনপি রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করছিল। পুলিশ তাদের রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ না করে দলীয় কার্যালয়ে সমাবেশ করার জন্য বলেছিল। সেটি তারা না শুনে রাস্তা বন্ধ করে দেয় এবং পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। পুলিশের ওপর হামলা করে।