আমদানি ব্যয় মেটাতে ব্যাংকগুলোর কাছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৫৩ মিলিয়ন ডলার বিক্রির পর মঙ্গলবার দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৯.০৪ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। জুলাই থেকে শুরু হওয়া চলতি অর্থবছর-২৩ এ কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন পর্যন্ত প্রায় ২.৪৪ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে। এরমধ্যে দিয়ে এফওয়াই-২২ সালে রিজার্ভ থেকে রেকর্ড ৭.৬২ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হল।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতে, টানা দ্বিতীয় দিনে ১৫০ মিলিয়ন ডলারের বেশি বিক্রি করা হয়েছে। সোমবার (২৯ আগস্ট) রিজার্ভ থেকে ১৬৪ মিলিয়ন ডলার বিক্রি হয়েছে।
জুলাই শেষে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩৯.৬০ বিলিয়ন ডলারে। এ গতিতে ডলার বিক্রি অব্যাহত থাকলে স্বল্প সময়ের মধ্যে রিজার্ভ ৩৯ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
ডলারের বাজার নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) বৈঠক করে। বৈঠকে এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম আরএফ হোসেনসহ বিভিন্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্যাংকাররা ডলারের বাজারে স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার ও আন্তঃব্যাংক বিনিময় প্ল্যাটফর্ম সক্রিয় করার পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেছেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে ডলারের সহায়তা বৃদ্ধিতে স্বস্তি প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো। তাদের মতে, এর ফলে ডলারের জন্য বাজারের ওপর নির্ভরতা কমে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ডলারের বাজার স্থিতিশীল করা আমাদের মূল লক্ষ্য নয়। বাজার তার নিজস্ব গতিতে চলবে।
তিনি আরও বলেন, জ্বালানিসহ সরকারের কিছু খাতে কেনার বিষয়টি আমাদের বিবেচনা করতে হবে। বেসরকারি বা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের এলসি নিষ্পত্তির জন্য ডলার না থাকলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ডলার বিক্রি করা হয়। আমরা এটিকে সম্মান করতে থাকি।