বখাটে যুবক উত্ত্যক্ত করার কারণে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী ভয়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে । এ ঘটনাকে কেন্দ্রে করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফেরার পথে অমিত বিশ্বাস নামের এক যুবক ওই স্কুল ছাত্রীর পথরোধ করে কুপ্রস্তাব দেয়। রাজি না হওয়ায় অমিত ওই স্কুল ছাত্রীর হাত ধরে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
এ সময় ওই স্কুলছাত্রীর চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এলে অমিত পালিয়ে যায়। তবে ওই ঘটনার পর ওই শিক্ষার্থী আতঙ্কে স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই ছাত্রীকে স্কুলে অনুপস্থিত ছিলেন।
অমিত বিশ্বাস উপজেলার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম হাজরাবাড়ি গ্রামের বীরেন বিশ্বাসের ছেলে।
উত্ত্যক্তের শিকার হওয়া ওই স্কুলছাত্রী বলেন, “স্কুলে যাওয়া আসার পথে অমিত বিশ্বাস প্রায়ই আমাকে উত্ত্যক্ত করতো। সে আমাকে বিভিন্ন ধরনে কুপ্রস্তাব দিত। আমি রাজি না হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে অমিত আমাকে একটি ইজিবাইকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় আমি চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসার পর অমিত পালিয়ে যায়।”
ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মিনতীলতা মধু বলেন, “ঘটনার দিন স্কুল ছুটির পরে বাড়ি ফেরার পথে অমিত বিশ্বাস নামের এক যুবকের কাছে উত্ত্যক্তের শিকার হয়ে ওই ছাত্রী স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছে।”
উত্ত্যক্তের শিকার হওয়া ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, “ঘটনার পর আতঙ্কে আমার মেয়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমাদের এলাকার অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অমল কৃষ্ণ সেন বিষয়টি মিটিয়ে দিবেন বলে দায়িত্ব নিয়েছেন বলে আমরা আইনের আশ্রয় নিইনি।”
তবে উত্ত্যক্তের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অমিত বিশ্বাস। এই যুবক বলেন, “আমি ওই মেয়েকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করিনি। আমি শুধু তার সঙ্গে কথা বলেছি।”
বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অমল কৃষ্ণ সেন বলেন, “ঘটনাটি আমি জেনেছি। বিষয়টি নিয়ে আমি দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। মঙ্গলবার রাতে আমি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সালিস বৈঠকের মাধ্যমে মীমাংসা করে দেবো।”
ভাঙ্গারহাট নৌ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ওমর শরীফ বলেন, “এ বিষয়ে আমি কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”