অস্থিতিশীল ডলারের বাজারে নতুন করে আশা দেখাচ্ছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। এ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে এই খাতে এসেছে বিপুল পরিমাণ অর্থ।
জুলাই মাসে এই প্রবাহ দুই বিলিয়ন ডলার পার করেছে। এই প্রবণতা আগস্টেও অব্যাহত থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। এ মাসের প্রথম ২৫ দিনে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে প্রায় ১.৭৩ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। গত ২৮ আগস্ট রেমিট্যান্স সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
এই ধারা অব্যাহত থাকলে আগস্টের শেষ নাগাদ প্রবাসী আয় ২.১৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিশ্লেষকরা। গত বছরে (২০২১) এই অর্থের পরিমাণ ছিল ১.৮১ বিলিয়ন ডলার।
সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, আগস্টের প্রথম ২৫ দিনে, পাঁচটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স ৩১৫ মিলিয়নে পৌঁছেছে।
প্রায় ১.৪ বিলিয়ন এসেছে প্রাইভেট কমার্শিয়াল ব্যাংকের (পিসিবি) মাধ্যমে। এছাড়া আরও ৬.৪ মিলিয়ন এসেছে বিদেশী কমার্শিয়াল ব্যাংকে (এফসিবি)৷
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৩৫৬.২ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে। অগ্রণী ব্যাংক ও সিটি ব্যাংকে এসেছে ১১০ মিলিয়ন ডলার। এছাড়া ডাচ বাংলা ব্যাংক পেয়েছে প্রায় ৯৫.৪ মিলিয়ন ও রূপালী ব্যাংক ৯৩.৫ মিলিয়ন পেয়েছে। আলোচিত সময়ে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক বিডিবিএল-এর মাধ্যমে প্রবাসীরা কোনো রেমিট্যান্স পাঠাননি।
রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক যা একটি রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকও কোনো রেমিট্যান্স পায়নি। ব্যাংক আল-ফালাহ, হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়াও এফসিবি হিসেবে সেই তালিকায় ছিল।
এর আগে গত জুলাই মাসে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছিলেন ২.০৯ বিলিয়ন ডলার, যা জুনের চেয়ে প্রায় ২৬ কোটি ডলার বেশি। জুন মাসে ১.৮৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এফওয়াই২২-এ, প্রবাসীরা আনুষ্ঠানিক ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে ২১.৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে, যা গত অর্থবছরের তুলনায় ১৫.১১% কম।
এফওয়াই২২, প্রবাসীরা ২৪.৭৭ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৯.৩৬ বিলিয়ন ডলার রয়েছে।
এই বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে প্রায় সাড়ে চার মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। দেশে বর্তমানে প্রতি মাসে আমদানি ব্যয় ৮ বিলিয়ন ডলার।