পাকিস্তান এখন জোড়া বিপর্যয়ের মুখে। একদিকে তীব্র আর্থিক সংকট, অন্যদিকে ভয়ংকর বন্যায় বিপর্যস্ত পাকিস্তান। এই অবস্থায় আইএমএফের কাছ থেকে সুখবর শুনলো তারা।
২০১৯ সালে আর্থিক সংকট কাটানোর জন্য পাকিস্তানকে ঋণ দেবে বলে ঠিক করেছিল আইএমএফ। কিন্তু তৎকালীন ইমরান খানের সরকার আইএমএফের শর্ত মেনে পেট্রোল-ডিজেলের উপর থেকে ভর্তুকি ছাঁটাই করতে রাজি হয়নি। ফলে আইএমএফও অর্থ দেয়নি।
পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল বলেছেন, “আইএমএফ বোর্ড আমাদের অর্থ মঞ্জুর করেছে। এমনকি তারা আরও ১০০ কোটি ডলার দিতেও রাজি হয়েছে।”
গত মঙ্গলবার জাতিসংঘ পাকিস্তানকে জরুরি ভিত্তিতে ১৬০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল। পাকিস্তানের পরিকল্পনা মন্ত্রী আহসান ইকবাল জানিয়েছেন, অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে তাদের এক হাজার কোটি ডলার প্রয়োজন।
আইএমএফের বক্তব্য
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ সম্প্রতি পেট্রোল-জিজেলের দাম অনেকটাই বাড়িয়েছেন। বিদ্যুতের মাসুলও বেড়েছে। তিনি ইমরান খানের দেওয়া ভর্তুকি বন্ধ করে দিয়েছেন। আইএমএফের চাহিদা মেনেই তিনি সরকারি খরচ কমিয়েছেন এবং রাজস্ব বৃদ্ধির রাস্তায় চলেছেন। আইএমএফও এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।
আইএমএফের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর জানিয়েছেন, বিরূপ বৈদেশিক ঘটনাবলির প্রভাব পাকিস্তানের অর্থনীতির উপর পড়েছে। দেশের ভেতরে তারা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে, আর ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রভাবও তাদের উপর পড়ছে। এই অবস্থায় ঠিক নীতি নিয়ে চলা জরুরি বলে তিনি জানিয়েছেন।
ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য
বন্যা ও অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়ে পাকিস্তান এখন ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক চালু করার কথা ভাবছে। পাক অর্থমন্ত্রী বলেছেন, “আমরা ভারত থেকে সবজি আমদানি করার কথা চিন্তা করছি।”
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, পাকিস্তানের ভয়ংকর বন্যায় প্রাণহানির কথা শুনে তিনি ব্যথিত।