ধর্ষণ চেষ্টা মামলার তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আসামী পক্ষ থেকে উৎকোচ নিয়ে আদালতে মনগড়া রির্পোট দাখিলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বাদী। শনিবার (২৭ আগস্ট) বরিশাল রিপোটার্স ইউনিটি (বিআরইউ) এর বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহান আরা বেগম স্মৃতি মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন করেন বরিশাল জেলার মুলাদী থানার সফিপুর ইউনিয়নের মধ্যেরচরের বাসিন্দা আব্দুল মান্নানের মেয়ে মৌসুমী বেগম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য মৌসুমী বেগম বলেন, গত ১৩ জুলাই (বুধবার) দিবাগত রাত সাড়ে ৮ টার দিকে আমার পিতার বাসভবনে চরমালিয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত হাসেম বেপারীর ছেলে দেলোয়ার হোসেন বেপারী ধর্ষণের চেস্টা করে ব্যর্থ হয়। যার একাধিক সাক্ষী আছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ২১ জুলাই নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আদালতে ( নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০) সংশোধিত-২০০ এর ১০ ধারা এবং পেনাল কোড ৫০৬(২) ধারায় এমপি ২৬৫/২২ নং মামলা দায়ের করি। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে মুলাদী থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোঃ শহিদুল ইসলাম কে ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট প্রদানের দেয়া হলে তিনি গত ১৬ আগস্ট আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। কিন্তু রিপোর্টে তদন্ত কর্মকর্তা আসামী পক্ষ থেকে উৎকোচ গ্রহন করে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে আসামীকে নির্দোষ বলে রিপোর্ট প্রদা করে। যার মাধ্যমে আমি ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি।
এসময় তিনি বলেন, আমরা আর্থিকভাবে দুর্বল এবং সমাজের নিরব প্রকৃতির মানুষ। পক্ষান্তরে আসামীপক্ষ আর্থিকভাবে স্বচ্ছল ও প্রভাবশালী প্রকৃতির ।আসামীর এমন নারী কেলেংকারীর একাধিক ঘটনা খাকলেও প্রভাবের কারণে সাবই সমীহ করে চলে। এ কারণে আমি মামলা দায়ের করার কারণে বর্তমানে আসামী পক্ষের হুমকী ধামকীর কারনে এদিক-সেদিক ঘুরিয়া বেড়াইতেছি।
এসময় তিনি আরও বলেন, আসামী দেলোয়ার হোসেন বেপারির বিরুদ্ধে বাক প্রতিবন্ধী মেয়েকে নির্যাতনের মামলা আছে মুলাদী থানায়। দেলোয়ার বেপারি অনৈতিক কাজ করতে গিয়ে এলাকাবাসীর কাছে নারীসহ আটক হলেও ক্ষমতার দাপটে তাকে ছাড়িয়ে নেয়া হয়। আর এলাকাটি রিমোট অঞ্চল হওয়ায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী পৌছানেরা আগে আসামীপক্ষ তাদের ম্যানেজ করে ফেলে।
সংবাদ সম্মেলনে মৌসুমী বেগম আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যেমে আসামী দেলোয়ার বেপারির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানায় । সংবাদ সম্মেলনে মৌসুমী বেগমের পিতা আব্দুল মান্নান, মাতাসহ মামলার সাক্ষীরা উপস্থিত ছিলেন।