জ্বালানি তেল উৎপাদন ও রপ্তানিকারী দেশসমূহের জোট ওপেক প্লাস দৈনিক তেল উৎপাদনে নিয়ন্ত্রণ আনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বাড়ছে।
শুক্রবার প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম বেড়েছে ৭৩ সেন্ট, যা শতকরা হিসেবে দশমিক ৭৩ শতাংশ। আর ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট তেলের দাম বেড়েছে ৭৮ সেন্ট বা দশমিক ৮৪ শতাংশ।
অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের এই দুই বেঞ্চমার্কের দাম বৃদ্ধির ফলে শুক্রবার বিশ্ববাজারে প্রতি ব্যারেল জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে ১ ডলারের বেশি।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি সপ্তাহের এই শেষ পর্যায়ে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে ৩ শতাংশ।
‘তেলের দাম কমতে থাকায় অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কায় থাকা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নিঃসন্দেহে এটি স্বস্তিদায়ক সংবাদ,’ বলা হয়েছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে।
বুধবার ওপেক প্লাসের নেতৃস্থানীয় সদস্য সৌদি আরবের জ্বালানিমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, বাজারে মন্দাভাব দেখা দেওয়ায় তেলের উৎপাদন হ্রাসের পরিকল্পনা নিয়েছে জোটের বিভিন্ন সদস্যরাষ্ট্র। তার পরের দিন থেকেই চাঙা ভাব দেখা যাচ্ছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বাজারে।
আন্তর্জাতিক বাজার বিশ্লেষকদের মতে, ইউক্রেনে সামরিক অভিযান ইস্যুতে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় দেশটি থেকে বিশ্ববাজারে আগের মতো তেল আসছে না। এতে তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভিন্ন দেশ তেল কেনা কমিয়ে দিয়েছিল, ফলে একদিকে যেমন তেলের বাজারে পতন দেখা দিয়েছিল, অন্যদিকে বৈশ্বিক মন্দারও সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়।
সম্ভাব্য মন্দাভাব কাটাতে এখন ইরানকে গুরুত্ব দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা।পরমাণু চুক্তি বিষয়ক জটিলতা ও মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থাকায় ওপেকের অন্যতম সদস্য ও মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশ ইরানের তেল বিশ্ববাজারে আসতে পারছে না।
তবে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে ইরানের নতুন একটি পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষরের প্রক্রিয়া চলছে। যদি সেই চুক্তি স্বাক্ষর ও কার্যকর হয়, সেক্ষেত্রে দেশটির তেলের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে।