মেট্রো রেলে প্রতি সাড়ে তিন মিনিট পরপর একটি করে ট্রেন চলাচল করার কথা। তবে শুরুতে ১০ মিনিট পরপর ট্রেন চালানো হবে। যাত্রীরা কিছুটা অভ্যস্ত হয়ে উঠলে এবং যাত্রী সংখ্যা বাড়লে এক ট্রেনের সঙ্গে অন্য ট্রেনের বিরতি কমিয়ে আনা হবে।
সোমবার (২২ আগস্ট) প্রবাসী কল্যাণ ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন ছিদ্দিক এ কথা জানান।
এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, ঢাকার প্রথম মেট্রো রেল আগামী ডিসেম্বরে চালু হচ্ছে। প্রথম দফায় উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলাচল করবে মেট্রো রেল। এজন্য ১০ সেট (প্রতি সেটে ৬টি বগি) ট্রেন প্রস্তুত করা হয়েছে। ফজরের নামাজের পর থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত এসব ট্রেন চলাচল করবে।
তিনি বলেন, উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রো রেলের পরীক্ষামূলক চলাচলের ‘পারফরম্যান্স টেস্ট’ পর্ব শেষ পর্যায়ে। ১ সেপ্টেম্বর থেকে ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট শুরু হবে। এ পর্যায়ে মেট্রো রেলের বৈদ্যুতিক, সংকেত ব্যবস্থাসহ সব ব্যবস্থা সমন্বিতভাবে ঠিকঠাক কাজ করছে কিনা, তা পরীক্ষা করা হবে।
এরপর অক্টোবর থেকে সিমুলেটরের মাধ্যমে ট্রেন পরিচালনা করা হবে। শেষ ধাপে যাত্রীবিহীন ট্রেন চলাচল করবে। যাত্রী নিয়ে যে গতিতে এবং যেভাবে চলার কথা, ঠিক সেভাবেই ১৫ দিন যাত্রীবিহীন চলাচল করবে। ডিসেম্বরে যাত্রীসহ আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করবে মেট্রো রেল। আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে মেট্রো রেল আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হতে পারে।
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ভাড়া নির্ধারণে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের একটি কমিটি কাজ করছে। শিগগিরই ভাড়া চূড়ান্ত হয়ে যাবে। তবে এর আগে র্যাপিড পাস বা স্থায়ী কার্ড এবং তাৎক্ষণিক টিকিট কাটার পুরো ব্যবস্থাপনা করা হয়েছে। সরকার ভাড়া ঠিক করে দিলে সফটওয়্যারে ভাড়ার হার বসিয়ে র্যাপিড পাস বিক্রি করা শুরু হবে।
তিনি বলেন, উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত পুরো পথে ওপরের কাজ শেষ হয়ে গেছে। কাজীপাড়া ও শ্যাওড়াপাড়া স্টেশন থেকে নামার সিঁড়ির পর জায়গা থাকছে না। এজন্য জমি অধিগ্রহণ হচ্ছে। সে কাজও চূড়ান্ত হয়ে গেছে। চালুর আগেই সব ঠিক হয়ে যাবে।