৫০ বছরপূর্তি উদযাপন করবে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ। এ লক্ষ্যে বছরব্যাপী নানা আয়োজনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আগামী বছর দেশের আইনসভার অর্ধশত বছর পূরণ হচ্ছে।
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ। ওই নির্বাচনে ২৯৩ আসন পায় আওয়ামী লীগ।
বাকি ৭টি আসনের মধ্যে ৫টিতে বিজয় লাভ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। অপর দুটির মধ্যে একটি জাসদ এবং আরেকটি আসন পায় বাংলাদেশ জাতীয় লীগ। ওই সংসদে কোনও বিরোধী দলীয় নেতা ছিলেন না।
এর এক মাস পর ওই বছরের ৭ এপ্রিল সংসদ বসে। সংসদের মেয়াদ পাঁচ বছর হলেও পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর নানা পটপরিবর্তনে সেই সংসদ টিকে ছিল ওই বছরের ২ নভেম্বর পর্যন্ত। ওই সংসদের নেতা ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেষ মুজিবুর রহমান।
প্রথম সংসদের আগে গণপরিষদে সংবিধান গৃহীত হয়। সংবিধান প্রণয়নের পর ভেঙে যায় গণপরিষদ।
সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই আয়োজনে বিশ্বের নানা দেশের আইনসভাকেও সম্পৃক্ত করা হতে পারে। বন্ধুপ্রতীম বিভিন্ন দেশের আইনসভার স্পিকারদের বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে। এছাড়া, নানা সেমিনার ও সভা করা হবে। বসতে পারে বিশেষ অধিবেশন।
প্রথম সংসদ গঠিত হওয়ার পর প্রথম অধিবেশনে সংসদের আসন ছিল ৩০০টি। আর সংরক্ষিত নারী আসন ছিল ১৫টি— কালক্রমে যা বর্তমানে ৫০টি।
প্রথম সংসদের স্পিকার ছিলেন মোহাম্মদউল্লাহ। তিনি পরে রাষ্ট্রপতি হলে সংসদের সভাপতির আসনে বসেন আব্দুল মালেক উকিল।
সংসদের ৫০ বছরপূর্তির আয়োজন নিয়ে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘‘আগামী বছর এপ্রিলে ৫০ বছরপূর্তি হবে। তখন রোজার মাস থাকবে। তবে বছরব্যাপী নানা আয়োজন থাকবে।’’