রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী আলেকজান্ডার ডুগিনের কন্যা দারিয়া রাজধানী মস্কোর কাছে এক গাড়িবোমা হামলায় নিহত হয়েছেন। কে বা কারা এ হামলা চালিয়েছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায় নি। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত রুশ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্যও আসেনি। তার মৃত্যুর খবর প্রকাশ করেছে রুশ সংবাদমাধ্যম।
খবরে বলা হয়েছে, দারিয়া ডুগিন তার ল্যান্ড ক্রুজার প্রাডো গাড়িতে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় মস্কোর কাছে তার গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছান বাবা আলেকজান্ডার।
স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, মস্কোর ওডিনটসভস্কি জেলায় ল্যান্ড ক্রুজার গাড়িটি বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।পুলিশ তদন্ত করলে জানা যায় যে গাড়িতে আলেকজান্ডার ডুগিনের মেয়ে দারিয়া ডুগিন ছিলেন।
খবরে বলা হয়েছে, ল্যান্ড ক্রুজার প্রাডো গাড়িতে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এ সময় আশপাশের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিস্ফোরণের পর গাড়িটি উড়ে যায়। গাড়ির টুকরোগুলো এদিক-ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। গাড়ি থেকে আগুনের লেলিহান শিখা উঠছিল।
তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুলাই মাসে ব্রিটেনের তরফে রাশিয়ার জনগণের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার মধ্যে দারিয়া ডুগিনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। দারিয়া একজন লেখিকা ছিলেন। তিনি তার পিতার ‘পরামর্শদাতা’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। রাশিয়া যখন ইউক্রেন আক্রমণ করেছিল, তখন দারিয়া ডুগিনও এই আক্রমণকে সমর্থন করেছিলেন।
দারিয়া ডুগিনের বাবা আলেকজান্ডার ডুগিন একজন বিখ্যাত রাশিয়ান রাজনৈতিক দার্শনিক এবং বিশ্লেষক। আলেকজান্ডার ডুগিন সম্পর্কে বলা হয় যে তিনি ক্রিমিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধের পিছনে মস্তিষ্ক হিসেবে রয়েছেন। এছাড়াও, আলেকজান্ডারকে প্রায়ই পশ্চিমা বিশ্লেষকরা ‘পুতিনের মস্তিষ্ক’ বলে সম্বোধন করতেন।
এখনও পর্যন্ত এই বিস্ফোরণ সম্পর্কে রাশিয়ান কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করা হয়নি। সরকারি পদে অধিষ্ঠিত না হওয়া সত্ত্বেও, ডুগিনের বাবা রাশিয়ান রাষ্ট্রপতির ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং দেশটির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বলে মনে করা হয়।