ভারতের গুজরাট রাজ্যে ২০০২ সালে দাঙ্গা চলাকালে বিলকিস বানু নামে এক নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত ১১ আসামির সাজা মওকুফ হয়েছে। এ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে মোদি সরকারকে। বিষয়টি নিয়ে এবার মুখ খুলেছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সরকারি প্যানেল। তারা এর নিন্দা জানিয়েছে।
ইউএস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রেলিজিয়াস ফ্রিডম (ইউএসসিআইআরএফ) নামের ওই প্যানেল এ সিদ্ধান্তকে ন্যায়বিচারের সঙ্গে প্রতারণা বলেও আখ্যা দিয়েছে।
কমিশনের ভাইস চেয়ার আব্রাহাম কুপার একটি বিবৃতিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত ১১ আসামির অন্যায্য মুক্তির তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
প্যানেলের কমিশনার স্টিফেন শ্নেক মনে করছেন ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতার সাথে জড়িতরা এ সিদ্ধান্তের ফলে দায়মুক্তি পেয়ে যাবেন।
তিনি আরও বলেন, গুজরাট দাঙ্গায় যারা শারীরিক ও যৌন সহিংসতা করেছিল তাদের বিচার করতে না পারাটা ন্যায়বিচারের সঙ্গে প্রতারণার সামিল। ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় জড়িত দায়মুক্তির যে ধারা রয়েছে এটা তারই অংশ।
২০০২ সালে দাঙ্গা চলাকালে বিলকিস বানুর তিন বছরের মেয়েসহ তার পরিবারের সাত সদস্যকে হত্যা করা হয়। ১১ জনের দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন বিলকিস, তখন তিনি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। আদালতের নির্দেশে সেই ১১ আসামির সাজা মওকুফ হওয়ার পর সম্প্রতি কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন তারা।
ওই ১১ জন যে কারাগার থেকে কেবল মুক্তি পেয়েছেন তাই নয়, বরং কারাগারের বাইরে তাদের অভ্যর্থনাও জানানো হয়। সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওগুলোতে দেখা যায় যে, আত্মীয়স্বজনরা তাদের মিষ্টি খাওয়াচ্ছেন ও তাদের গলায় ফুলের মালা পরিয়ে দিচ্ছেন এবং তাদের পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নিচ্ছেন।
তাদের মুক্তির পর গুজরাটের বিজেপি বিধায়ক বলেছেন, ওরা অপরাধ ঘটিয়েছে কি না জানি না আমি। তবে জেলে ওদের আচরণ ভালো ছিল। ওরা সব ব্রাহ্মণ সন্তান। মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ।