রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে ইউক্রেনকে আরও ৭৭৫ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ প্যাকেজের মধ্যে মাইন-প্রতিরোধী যানবাহন, নজরদারি ড্রোন ও অন্যান্য অস্ত্র থাকবে বলে জানিয়েছে জ্যেষ্ঠ এক মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা গেছে।
‘যতদিন সময় লাগে’ রাশিয়ার অব্যাহত আক্রমণ বন্ধ করতে ইউক্রেনকে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বাইডেন প্রশাসন। সে কারণে ইউক্রেনের প্রতি সাহায্যের হাত খুলে রেখেছেন যুক্তরাষ্ট্র
সহায়তার মধ্যে অতিরিক্ত অস্ত্র, গোলাবারুদ ও অস্ত্রের সরঞ্জাম অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। শুক্রবার (১৯ আগস্ট) এক বিবৃতিতে এসব বলেন তিনি।
ব্লিঙ্কেন আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট জো বিডেন স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে, যতদিন লাগবে রাশিয়ার আগ্রাসন থেকে তাদের দেশকে রক্ষা করতে ইউক্রেনের জনগণকে সমর্থন করতে থাকব।
তিনি বলেন, ‘যুদ্ধক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি পার্থক্য করতে এবং আলোচনার টেবিলে ইউক্রেনের অবস্থানকে শক্তিশালী করার জন্য এই ক্ষমতাগুলো সাবধানে ক্রমাঙ্কিত করা হয়েছে।’
বিবৃতিতে কিয়েভে কী অস্ত্র পাঠানো হবে তা বলা না হলেও, একজন জ্যেষ্ঠ মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা শুক্রবার বিবৃতির শুরুতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওয়াশিংটন প্রথমবারের মতো মাইন-প্রতিরোধী যানবাহনকে সহায়তা প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত করবে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, ‘সহায়তার মধ্যে ১৫টি স্ক্যান ঈগল নজরদারি ড্রোন, ৪০টি মাইন-প্রতিরোধী, এমআরএপি নামে পরিচিত অ্যাম্বুশ-সুরক্ষিত যান এবং প্রায় এক হাজার জ্যাভলিন অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
‘আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে ইউক্রেনের প্রয়োজন মেটাতে গোলাবারুদের একটি অবিচ্ছিন্ন প্রবাহ রয়েছে এবং আমরা এই প্যাকেজে প্রচুর গোলাবারুদও রেখেছি, বলে জানান ওই প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা।
যদিও এই প্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্ক্যান ঈগল ড্রোন সরবরাহ করছে ইউক্রেনকে। এর আগে অন্য একটি দেশ ইউক্রেনকে সেগুলো সরবরাহ করেছে।