ভারতে প্রকাশ্যে শিক্ষিকার গায়ে আগুন, প্রত্যক্ষদর্শীরা ভিডিও করায় ব্যস্ত

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
2 মিনিটে পড়ুন

ভারতের রাজস্থানের জয়পুর গ্রামীণে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে দলিত শ্রেণির ৩২ বছর বয়সী এক নারী শিক্ষককে জীবন্ত পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। নিজের আত্মীয়-স্বজন ও গোত্রের মানুষেরাই তাকে পুড়িয়ে হত্যা করেন। এ সময় আশপাশের কেউ তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বাংলা বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে জানায়, স্কুলে যাওয়ার সময়ে হামলাকারীরা দলিত শিক্ষক অনিতা রেগরকে ঘিরে ধরেন। এরপর তাকে মারধর করা হয়। এ সময় পালিয়ে একটি নির্মাণাধীন ভবনে আশ্রয় নিলে সেখানে অনেক মানুষের সামনে তার শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

খবর পেয়ে ওই শিক্ষকের স্বামী তারাচাঁদ ৭০% দগ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই কয়েকদিন চিকিৎসাধীন থাকার পরে অনিতার মৃত্যু হয়।

মৃত্যুর আগে এক ভিডিও রেকর্ডে ওই শিক্ষক জানান, ১০ই অগাস্ট সকালে ছেলেকে নিয়ে স্কুলে যাওয়ার পথে তার ওপর হামলা হয়। তিনি পালিয়ে একটি নির্মাণাধীন ভবনে আশ্রয় নেন। সেখানে আক্রমণকারীরা তার শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিলে তিনি জ্ঞান হারান।

- বিজ্ঞাপন -

অনিতা রেগর পুলিশকে ফোনও করেছিলেন, কিন্তু পুলিশ সময়মতো ঘটনাস্থলে পৌঁছায়নি।

এ ঘটনায় হামলাস্থল থেকে করা একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেই ভিডিওতে দেখা যায়, অনিতা রেগরের শরীরে আগুন জ্বলছে। আর আশপাশের মানুষেরা ভিডিও করতে ব্যস্ত। তারা কেউ প্রতিহত করার কথা ভাবেননি।

জয়পুর গ্রামীণের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারিন্টেডেন্ট ধর্মেন্দ্র যাদব সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, “ওই নারী তার এক আত্মীয়কে কিছু টাকা ধার দিয়েছিলেন। তবে তার কোনো প্রমাণ রাখেননি। সেই টাকা নিয়েই ঝামেলা হয়। নিহত নারী অভিযোগ করেছিলেন, তাকে মারধর করা হয়েছে। সেসময়ে দুজন নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার চারদিন পরে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।”

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!