আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছে বুকারজয়ী লেখক সালমানী রুশদির ওপর হামলা চালানো মুসলিম তরুণ। আদালতের সামনে সে ছিল নির্বিকার।
এর আগে মার্কিন সংবাদপত্র নিউইয়র্ক পোস্টকে দেওয়া এক সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে সে দাবি করে, সালমান রুশদি ইসলামকে আক্রমণ করেছেন।
যদিও এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে প্রশ্ন করা হয় রুশদির লেখা সে পড়েছে কি-না।
জবাবে আক্রমণকারী জানায়, স্যাটানিক ভার্সের দুই পাতা পড়েছে সে। এদিন তাকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেন। সেখানেই সে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে।
তার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। গত সপ্তাহে নিউইয়র্কের এক সভায় বক্তৃতা করার কথা ছিল রুশদির। সেখানে তিনি মঞ্চে ওঠার পরেই আক্রমণকারী দৌড়ে গিয়ে তাকে একাধিকবার ছুরি দিয়ে আঘাত করে। আহত রুশদিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে ভেন্টিলেশনে রাখতে হয়। এখন অবশ্য তিনি কিছুটা সুস্থ। শুক্রবার রুশদির সমর্থনে নিউ ইয়র্কের লাইব্রেরির সিঁড়িতে বসে তার লেখা পাঠ করবেন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক লেখক। স্যাটানিক ভার্স প্রকাশিত হওয়ার পর রুশদির ওপর একাধিক আক্রমণের চেষ্টা হয়।
ইরানের প্রধান ধর্মীয় নেতা রুশদিকে হত্যার ফতোয়া জারি করেন। যদিও ১৯৯৮ সালে ইরান সেই ফতোয়া থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয়। জাপানে রুশদির লেখা অনুবাদ করায় খুন হতে হয় এক অনুবাদককে। এবার রুশদির ওপর হামলা হওয়ার পর ইরান জানিয়ে দিয়েছে, এর সঙ্গে তাদের কোনো সংযোগ নেই। বস্তুত, ২৪ বছরের যে যুবক আক্রমণ চালিয়েছে, সে ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা। লেবাননের শরণার্থী পরিবারের সদস্য। নিউইয়র্কে গিয়ে রুশদির অনুষ্ঠানের পাস সংগ্রহ করে সে ভিতরে গিয়েছিল।