বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের ঠিকাদার কোম্পানি চায়না গেজুবা গ্রুপ করপোরেশনের (সিজিসিসি) দোষ প্রমাণিত হলে এবং কমিটি শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সুপারিশ করলে কোনো আপত্তি থাকবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এসব কথা বলেন।
লি জিমিং সোমবার উত্তরায় ঢাকা বিআরটি প্রকল্পের গার্ডার দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্যের জন্য প্রার্থনা করেন। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানিয়েছে।
তিনি বলেন, “ঠিকাদার কোম্পানিটির (চায়না গেজুবা গ্রুপ কর্পোরেশন) হয়ে তদন্ত করতে বাংলাদেশে এসেছে তাদের একটি প্রতিনিধি দল। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের তদন্ত কমিটিকে তারা প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা করবেন।”
তিনি জানান, এই কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, সোমবার দক্ষিণ খানে বৌভাতের অনুষ্ঠান শেষে আশুলিয়া যাওয়া পথে উত্তরার জসীমউদদীনে ঢাকা-ময়মনসিংহ রোডে পৌঁছালে বিআরটি প্রকল্পের একটি ক্রেন থেকে গার্ডার প্রাইভেটকারের ওপর পড়ে। এতে ৫ জন নিহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রকল্পের কাজ চলাকালীন একটি গার্ডার ক্রেন দিয়ে তোলা হচ্ছিল। হঠাৎ ক্রেনটি গার্ডারসহ কাত হয়ে যায় এবং নিচ দিয়ে যাওয়া একটি প্রাইভেটকারের ওপর পড়ে। এতে প্রাইভেটকারটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
প্রাইভেটকারে আরোহী ছিলেন সাতজন। ছিলেন নববিবাহিত হৃদয়ের বাবা রুবেল (৬০), হৃদয়ের শাশুড়ি ফাহিমা (৪০), কনে রিয়া মনির খালা ঝর্ণা (২৮), ঝর্ণার দুই সন্তান জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)। ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। শুধু বেঁচে আছেন হৃদয় ও রিয়া।