মাদক থেকে আয় কমে যাওয়ায় তরুণ প্রজন্মকে মদপানে উৎসাহ দিচ্ছে জাপান। জাপানের তরুণ প্রজন্ম পূর্বসূরিদের থেকেও কম মদ খাওয়ায় এই উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির ন্যাশনাল ট্যাক্স এজেন্সি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, তরুণ প্রজন্মকে মদপানে উৎসাহিত করতে জাপান জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা আর ক্যাম্পেইন চালু করেছে। “সাকে ভিভা” নামের এই ক্যাম্পেইনের উদ্দেশ্য তরুণদের কাছে মদ্যপানকে আকর্ষণীয় করে এ খাতের পুরোনো সমৃদ্ধি ফিরিয়ে আনা।
দেশটির ট্যাক্স এজেন্সি বলছে, মহামারির সময়টাতে কমবয়সীদের মাঝে মদপানের অভ্যাস কমে যায়। তাছাড়া জাপানে বয়স্ক নাগরিকের সংখ্যা বাড়ছে। এটিও মদের বিক্রিতে প্রভাব রাখতে পারে বলে ভাবা হচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের অনুমান, জাপানের জনসংখ্যার ২৯% ৬৫ বছর বা বেশি বয়সী।
দেশটির ট্যাক্স এজেন্সি জানিয়েছে, প্রতিযোগিতায় ২০-৩৯ বছর বয়সী জাপানি নাগরিকেরা অংশগ্রহণ করতে পারবে। সোজু, হুইস্কি, সাকে, বিয়ার বা ওয়াইন- সহকর্মীদের মাঝে এগুলোর যেকোনোটির চাহিদা বাড়িয়ে তুলবে এমন প্রচারধর্মী বা ব্যবসায়িক আইডিয়া শেয়ার করতে হবে তাদের। প্রয়োজনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাজনিত অত্যাধুনিক পরিকল্পনা তুলে ধরতেও প্রতিযোগীদের আহ্বান করা হয়েছে।
জাপানি সংবাদমাধ্যম বলছে, এ ঘোষণায় জাপানিদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। এমন একটি অস্বাস্থ্যকর অভ্যাসের জন্য উৎসাহ প্রদান করাটা অনেকেই ভালোভাবে নেয়নি। তবে অনেকে আবার ইতোমধ্যে মদের বিকিকিনি বাড়াতে অদ্ভুত সব আইডিয়া পোস্ট করা শুরু করে দিয়েছেন।
সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিযোগীদের সমস্ত আইডিয়া পাঠাতে হবে। এরপর সেখান থেকে সবচেয়ে ভালোটা বাছাই করে বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে সেটিকে প্রচার উপযোগী করে তোলা হবে।
ক্যাম্পেইনের ওয়েবসাইট বলছে, জাপানের অ্যালকোহলের বাজার ক্রমশ ছোট হচ্ছে। ট্যাক্স এজেন্সির সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান মতে, ১৯৯৫ সালের তুলনায় জাপানিরা ২০২০ সালে কম মদ্যপান করেছে। ১০০ লিটার (২২ গ্যালন) থেকে হ্রাস পেয়ে সেবছর মদপানের পরিমাণ দাঁড়ায় ৭৫ লিটারে (১৬ গ্যালনে)।
কমেছে মদ থেকে প্রাপ্ত ট্যাক্সের পরিমাণও। ১৯৮০ সালে মোট রাজস্বের ৫% আসত মদ থেকে, কিন্তু ২০২০ সালে এটি কমে হয় ১.৭% এ দাঁড়িয়েছে।