বরগুনায় পুলিশের লাঠির্চাজের অভিযোগে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলীকে চট্টগ্রাম রেঞ্জে বদলি করা হয়েছে।
এর আগে মহরম আলীকে বরিশাল ডিআইজি অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছিল।
বরগুনার পুলিশ সুপার (এসপি) জাহাঙ্গীর মল্লিক বুধবার (১৭ আগস্ট) জানিয়েছেন, মঙ্গলবার আরও পাঁচ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে ভোলা ও পিরোজপুর জেলা ইউনিটে সংযুক্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পুলিশের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।
অন্যদিকে বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান বিক্ষুব্ধ ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করতে বরগুনায় গিয়েছেন। দুপুরে বরগুনা শাখা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি।
ডিআইজি আকতারুজ্জামান বলেন “প্রত্যেকেরই ভালো আচরণ দেখানো উচিত। এএসপি মহরম যাতে তদন্তে প্রভাব ফেলতে না পারে সেজন্য তাকে বদলি করা হয়েছে। তাছাড়া, যখন কারো বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তখন সেই ব্যক্তিকে প্রথমে বদলি বা প্রত্যাহার করা হয়।”
বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ, বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শওকত হাচানুর রহমান রিমন, বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবিরসহ ক্ষমতাসীন দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
পরে এমপি ধীরেন্দ্র সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশ কর্মকর্তা ছাত্রলীগের সদস্যদের সঙ্গে যা করেছেন তা বেআইনি ও অনৈতিক। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নেওয়ার জন্য তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ সদর দপ্তর এবং সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
মঙ্গলবার আদেশের পর, ধীরেন্দ্র দেবনাথ ও ছাত্রলীগের একটি অংশ ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র কর্মীদের বিরুদ্ধে তার বাড়াবাড়ির জন্য মহরমকে পুলিশ থেকে বরখাস্তের দাবি জানায়।