পশ্চিমারা তাদের আধিপত্য টিকিয়ে রাখার জন্য সকল অঞ্চলে পুরানো দ্বন্দ্ব সক্রিয় করে বহুমেরু কেন্দ্রিক বিশ্ব ব্যবস্থাকে আটকাতে চায় বলে জানিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। মঙ্গলবার রুশ প্রেসিডেন্ট এমন মন্তব্য করেন।
আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার বিষয়ে ২০২২ সালের মস্কো সম্মেলনে বক্তৃতাকালে পুতিন বলেন, ‘পশ্চিমা দেশগুলো বিভিন্ন দেশ ও তার জনগণকে নব্য ঔপনিবেশিক ব্যবস্থার শৃঙ্খলে আটকে রাখার চেষ্টা করছে। তাদের (পশ্চিমা) আধিপত্যের অর্থ সমগ্র বিশ্বের জন্য এবং সমগ্র সভ্যতার জন্য স্থবিরতা সৃষ্টি করা। পশ্চিমা দেশগুলো এ আধিপত্য মূলত অস্পষ্টতা, সংস্কৃতির বিলুপ্তি এবং নব্য উদারবাদী সর্বগ্রাসীবাদ।’
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘পশ্চিমা আধিপত্য রক্ষার প্রয়াসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্র দেশগুলো অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অভদ্রভাবে হস্তক্ষেপ করে। এ কারণে তারা বিভিন্ন দেশে অভ্যুত্থান, গৃহযুদ্ধ বাঁধায় এবং অশান্তি সৃষ্টিতে উস্কানি দেয়। তারা বিভিন্ন রাষ্ট্রগুলোকে ব্ল্যাকমেইল করে এবং তাদের ইচ্ছার বশীভূত করার জন্য চাপ দেয়। এমন পরিস্থিতিতে আমরা জাতিসংঘ সনদের বিধি পালন করে ইউক্রেনে একটি বিশেষ সামরিক অভিযান পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
তিনি বলেন, এসব সামরিক অভিযানের লক্ষ্যগুলো স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। এ অভিযানের মাধ্যমে আমরা রাশিয়া এবং আমাদের (রুশ) নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই। এছাড়া গণহত্যা থেকে ডনবাসের বাসিন্দাদের রক্ষা করাও এ অভিযানের লক্ষ্য।
পুতিন বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পরিস্থিতি দেখে বোঝা যাচ্ছে এখানে সংঘাত দীর্ঘায়িত করার জন্য কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সামরিক উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা করেছে ওয়াশিংটন।
তিনি বলেন, মার্কিন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সাম্প্রতিক তাইওয়ান সফর হলো ওই অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির প্রয়াস। এটা যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যমূলক কৌশলের একটি অংশ। এটা অন্যান্য দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য অপমানজনক।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি