সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশি ব্যক্তিদের অর্থ রাখার বিষয়ে তথ্য জানাতে সর্বমোট তিন বার চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। রবিবার (১৪ আগস্ট) বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিটের এক সূত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
চলতি বছরের ১৬ জুন সুইস ব্যাংক তাদের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। পরদিন এগমন্ড সিকিউর ওয়েব (ইএসডব্লিউ) এর মাধ্যমে সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশি ব্যাংক ও ব্যক্তির জমানো অর্থের বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহের জন্য সুইজারল্যান্ডের এফআইইউ’কে (ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট) অনুরোধ করা হয়। তবে এ বিষয়ে এখনও কোনও তথ্য পায়নি বাংলাদেশ।
তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য পায়নি বাংলাদেশ।
অর্থপাচার ও সন্ত্রাসী কাজে অর্থায়ন প্রতিরোধ, অনুসন্ধান ও তদন্তের জন্য বিএফআইইউ বিদেশি ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিটগুলোর সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদান করে থাকে। তবে বিশ্বব্যাপী এ সব তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যম হলো এগমন্ড সিকিউর ওয়েব (ইএসডব্লিউ)।
২০১৩ সালের জুলাইতে ইএসডব্লিউ’র সদস্য হওয়ার পর চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত ৬৭ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে তথ্য চায় বাংলাদেশ।
ইএসডব্লিউ’র মাধ্যমে সুইজারল্যান্ডের এফআইইউ’কে এ তথ্য দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু একজন ছাড়া অন্যদের বিষয়ে কোনও তথ্য নেই বলে জানায় সুইজারল্যান্ড। আর এই একজনের তথ্য দুদককে দিয়েছে বিএফআইইউ।
এর আগে গত ১০ আগস্ট জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিকাব) আয়োজিত ‘ডিকাব টক’ অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি শুয়ার্ড বলেছিলেন, সুইস ব্যাংকে জমা রাখা অর্থের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার সুনির্দিষ্ট কোনও ব্যক্তির জন্য তথ্য চায়নি।
সুইস ব্যাংকের ত্রুটি সংশোধনে সুইজারল্যান্ড কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। তবে আমি আপনাদের জানাতে চাই, সুইজারল্যান্ডে কালো টাকা রাখার কোনও নিরাপদ ক্ষেত্র নয়।
এ বিষয়ে নোটিশ নিয়ে গত ১১ আগস্ট হাইকোর্ট রাষ্ট্রপক্ষ ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) সুইস ব্যাংকে আমানতকারীদের তথ্য কেন চাওয়া হয়নি তা জানতে চেয়েছিল।
বিচারপতি মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ নিজ উদ্যোগে এ আদেশ দেন।
এদিকে শুক্রবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন অভিযোগ করেন, সুইস রাষ্ট্রদূত মিথ্যাচার করেছেন। তিনি আরো বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং অর্থসচিব আমাকে আগে বলেছিলেন, তারা তথ্য চেয়েছেন, কিন্তু তারা (সুইস ব্যাংক) উত্তর দেয়নি।”