নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় কলেজছাত্রকে বিয়ে করা শিক্ষিকা খায়রুন নাহারের (৪০) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রবিবার (১৪ আগস্ট) সকাল ৭টায় নাটোর শহরের বলারিপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্বামী কলেজছাত্র মামুন হোসাইনকে (২২) আটক করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মামুন জানিয়েছেন, ভোর ৪টার দিকে ঘর থেকে বের হয়ে বাথরুমে যান। কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে দেখেন, গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় সিলিংয়ে ঝুলছেন খায়রুন নাহার। হাতের কাছে ধারালো কিছু না পেয়ে দিয়াশলাইয়ের কাঠি দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে ওড়না পুড়িয়ে তাকে নিচে নামান।
মামুন আরও জানান, খায়রুন নাহার ৩৫ হাজার টাকা বেতন পেতেন। বিভিন্ন জায়গায় ঋণ পরিশোধ করে থাকতো আট হাজার টাকা। গতকাল শনিবার খায়রুন নাহারের আগের পক্ষের ছেলে এসে পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে যায়। বাকি তিন হাজার টাকার মধ্যে বাড়িতে ছিল মাত্র এক হাজার টাকা।
ওসি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। লাশ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। দ্রুতই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর কাজী অফিসে গিয়ে কলেজছাত্র মামুন ও শিক্ষিকা খায়রুন নাহার বিয়ে করেন। বিয়ের ছয় মাস পর বিষয়টি জানাজানি হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।