নাটোরে কর্মরত সাময়িকী প্রতিনিধি এবং নাটোর কন্ঠের সম্পাদক খন্দকার মাহাবুব সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন। আজ শনিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে সদর উপজেলার বাকসোর আশ্রায়ন প্রকল্প এলাকায় তিনি হামলার শিকার হন। ভুমিদস্যু মোশারফ হোসেন তার ওপর চড়াও হয়ে মাথায় আঘাত করলে তিনি রক্তাক্ত ও জখম হন।
এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত বাংলা টিভির নাটোর প্রতিনিধি মেহেদী বাবু তাকে উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
সাংবাদিক মেহেদী বাবু ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খন্দকার মাহাবুব জানান, শনিবার দুপুরের পর পেশাগত দায়িত্ব পালনে তারা দু’জন বাকসোর আশ্রায়ন প্রকল্প এলাকায় যান। সেখানে সরকারী জায়গা দখলমুক্ত করে প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রায়ন প্রকল্পের নির্মানার্ধীন ঘরের অগ্রগতির খোঁজ নিতে যান। এলাকার লোকজনদের সাথে সরকারী ওই জায়গা দখলমুক্ত করার বিষয়ে কথা বলছিলেন। এসময় সরকারী ওই জায়গার দীর্ঘদিনের দখলদার শাহ আলমের ছেলে মোশারফ ছুটে এসে সরকারী কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। সাংবাদিক খন্দকার মাহাবুব প্রতিবাদ করে গালাগালি না করার জন্য মোশারফকে বলেন। এসময় মোশারফ উত্তেজিত হয়ে আরও অশোভন ভাষায় গালাগালি দিতে দিতে সাংবাদিক খন্দকার মাহাবুবের দিকে তেড়ে আসেন এবং তার হাতে থাকা স্যালো মেশিনের লোহার হাতল দিয়ে মাথায় আঘাত করে। ফলে মাহবুবের মাথা ফেটে রক্ত ঝরতে থাকে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফনে খন্দকার মাহাবুব মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সাংবাদিক মেহেদী বাবু সহ স্থানীয়রা ছুটে এসে খন্দকার মাহাবুবকে উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।
নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, ঘটনার খবর পাওয়ার পর পরই পুলিশের একটি দল হাসপাতালে গিয়ে তার চিকিৎসার খোঁজ খবর নিয়ে ঘটনার বিস্তারিত সর্ম্পকে জবানবন্দি নিয়েছেন।
এব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।