এক
উনত্রিশের দুদিন আগে ঘর সাজিয়ে যাকে যা দেবার দিয়ে মেয়ে চলে গেল জন্মদিন রেখে। এক হাতে মৃত্যু নিয়ে বাঁচতে চেয়েছিল। একদিন সমস্ত কাগজ গুছিয়ে রেখেছিল কিছু কাজ করে যাবে। তবু চলে গিয়ে শান্তি পেয়েছে।
দুই
লোকটি নিজের ছেলেমেয়েকে পুড়িয়ে এসে বসেছে পাথর তুলবে বলে। শত-সহস্র বছরের আশা নিয়ে। কারণ তার এখনও কিছুই দেখা হয়নি। কাঙালের জীবনে যে জ্বলন জ্বলছে বুকের ভেতর বহু যুগ ধরে, তবুও সে বাঁচতে চায়।
তিন
মঞ্জু ছিল আমার প্রথম প্রেমিকা। পাগলের মতো পৃথিবীকে ভালোবেসেছিল। সত্যি পাগল হবার আগেই নিজে চিরবিদায়ের দেশে। সে তাঁর দুটি সন্তানের অকাল মৃত্যু দেখেনি।
চার
সানি আমাদের প্রিয় ভাষা। সকল দুঃখের চির আশা। সে তো জানি চলে গেছে ভেসে, ওই সাগর পাড়ের দেশে। তার কথা সকলেই জানে। সানি আছে মৃত্যুহীন প্রাণে।
পাঁচ
বাবা, তোমার যাওয়ার দিন মা’র ফুঁপিয়ে কান্না দেখে ছেলেমেয়েরা কথা দিয়েছিল- আমরা আছি। নাহ, আমরা কেউ কথা রাখিনি। মা শুধু একটা ঘর চেয়েছিল তোমার স্মৃতি আঁকড়ে বাকি জীবন কাটাবে। শেষে অসহনীয় যন্ত্রণা নিয়ে নীরবে অন্তিম ঘুমে তোমার কাছে আশ্রয় নিয়ে শান্তি পেয়েছে। আমরা ক্ষমারও অযোগ্য।
ছয়
অনেকদিন লোকটি ছিলো পৃথিবীতে। লোকটি যেমন হারিয়েছে তেমনিই পেয়েছেও খুব। মারা যাবার পর পাড়া ভেঙে পড়েছিল বাগানঘেরা বাড়ির উঠোনে। বাউল মন হয়ে কারে যেন খুঁজেছে!