ভারতশাসিত জম্মু-কাশ্মিরের একটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে তিন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুই সেনা সদস্য। বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) ভোরের আগে কাশ্মিরের রাজৌরিতে একটি সেনা শিবিরে হামলায় হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।
এদিকে হামলার সময় কাশ্মিরে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে মুখোমুখি বন্দুকযুদ্ধে দুই বিচ্ছিন্নতাবাদীও প্রাণ হারিয়েছেন। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের পর থেকে জম্মু-কাশ্মিরের কোনো সেনা ঘাঁটিতে এটিই প্রথম বড় কোনো হামলা। প্রতিবেদনে এই হামলাকে আত্মঘাতী হামলা বলেও দাবি করা হয়েছে।
এনডিটিভি বলছে, বৃহস্পতিবার ভোরের আগে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা সেনা ঘাঁটির সীমানা বেড়া পার হওয়ার চেষ্টা করার সময় দায়িত্বরত একজন সেনা সদস্য তাদের দেখতে পেয়ে গুলি চালায়। এরপরই উভয়পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়।
কাশ্মির পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজিপি) মুকেশ সিং বলেছেন, ‘কেউ (বিচ্ছিন্নতাবাদী) পারগালে সেনা ক্যাম্পের বেড়া অতিক্রম করার চেষ্টা করেছিল। এক সেনা সদস্য সেসময় তাদের চ্যালেঞ্জ করে এবং এরই একপর্যায়ে গুলি বিনিময় হয়।’
এনডিটিভির দাবি, কাশ্মিরের রাজৌরি জেলা এবং জম্মু অঞ্চলের অন্যান্য অংশ সন্ত্রাসবাদ থেকে মুক্ত হলেও গত ছয় মাসে জম্মুতে একাধিক সন্ত্রাসী-সম্পর্কিত ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই হামলার পেছনে লস্কর-ই-তৈয়বা গোষ্ঠী রয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, কাশ্মিরের পুলওয়ামা জেলায় ২৫ কেজি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) উদ্ধার করে পুলিশ একটি বড় বিপর্যয় এড়িয়েছিল। তবে ঠিক একদিন পরই এই হামলার ঘটনা ঘটল।
এর আগে ২০১৬ সালে একই ধরনের সন্ত্রাসী হামলায় কাশ্মিরের উরিতে কমপক্ষে ১৮ ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছিল।