অর্থনৈতিক ও জ্বালানি সংকটে জর্জরিত শ্রীলঙ্কায় বিদ্যুতের দাম ২৬৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বুধবার (১০ আগস্ট) থেকে নতুন এ মূল্য কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার পাবলিক ইউটিলিটি কমিশনের (পিইউসিএসএল) চেয়ারম্যান জনকা রথনায়েক।
মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে শ্রীলঙ্কান দৈনিক ডেইলি মিরর।
পিইউসিএসএল চেয়ারম্যান জনকা রথনায়েক জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যয় বৃদ্ধির ফলে সিলন ইলেক্ট্রিসিটি বোর্ড পিইউসিএসএল-এর কাছে ১৮৩ শতাংশ এবং ২২৯ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধির জন্য ২টি প্রস্তাব জমা দিয়েছিলো। এই দুটি প্রস্তাবই অনুমোদিত হয়নি এর পরিবর্তে একটি যুক্তিসঙ্গত শুল্ক হার বাড়ানো হয়েছে।
ক্যাটাগরি অনুযায়ী ৩০ ইউনিটের কম খরচ হবে তাদের খরচের ২৫ শতাংশ বেশি মূল্য চার্জ করা হবে। ৩১ ইউনিটের উপরে এবং ৬০ ইউনিটের নিচের ভোক্তাদের মোট খরচের ৪০ শতাংশ চার্জ করা হয়। ৫০ শতাংশ চার্জ করা হবে ৬১-এর উপরে এবং ৯০ এর নীচে ইউনিট ব্যবহারকারীদের। ৯০ ইউনিটের ওপরে ব্যবহারকারীদের গুনতে হবে ৭৫ শতাংশ বেশি মূল্য।
রথনায়েক বলেন, গত ৯ বছরে, সমস্ত পণ্য এবং পরিষেবার দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য আমদানি করা তিন ধরনের জীবাশ্ম জ্বালানি বেড়েছে ২৫০ শতাংশের বেশি। কিন্তু গত ৯ বছরে আমরা বিদ্যুতের হার স্থিতিশীল রাখতে পেরেছি যা এখন আর সম্ভব হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়েই বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম কমায় গেল বৃহস্পতিবার (০৪ আগস্ট) ডিজেলের দাম কমায় শ্রীলঙ্কা। আর ডিজেলের কমানোর ঘোষণার পর কমানো হয় বাস ভাড়া, কমে আসে নিত্যপণ্যের দামও। তবে সেই ঘোষণার সপ্তাহ পার না হতেই বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিল রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমাসিংহের নেতৃত্বাধীন সরকার।
শ্রীলঙ্কায় বিদ্যুতের চরম সংকট চলছে। লোডশেডিংয়ের কারণে রাজধানী কলম্বোই প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎবিহীন থাকছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকায় বাসাবাড়িতে অনেকেই গাড়ির ব্যাটারি ব্যবহার করছেন।